পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষ থেমেও থামছে না। আর এই পরিস্থিতি কতটা উদ্বেগের মধ্যে ফেলছে হুগলির রিষড়ার বিএসএফ জওয়ান পুর্নম কুমারের পরিবারকে, তা প্রকাশ্যে আসল শনিবার। বিএসএফ আধিকারিকদের থেকে এখনও কোনও উত্তর পাননি পুর্নমের স্ত্রী রজনী। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) মধ্যস্থতা করার আবেদন রাখেন তিনি। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাধ্যমে সেই আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছাতেই রজনী সাউকে ফোন করলেন মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিলেন পাশে থাকার আশ্বাস।

শনিবার থেকেই সংঘর্ষ বিরতির পথে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে ভারত। তাতেই আশার আলো দেখেছিলেন পুর্নম কুমারের (Purnam Shaw) পরিবার। কিন্তু সেই পরিস্থিতিতেও বিএসএফ-এর তরফ থেকে কোনও সুসংবাদ আসেনি হুগলির রিষড়ায়। শনিবার রাতে বিএসএফ-এর (BSF) ডিজি ও প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সচিবের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার সেই শনিবার রাতেই ফের সংঘর্ষ বিরতির চুক্তি পাকিস্তান লঙ্ঘন করায় নতুন করে উদ্বেগের মধ্যে পড়েছেন রজনী সাউ। এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর (Chief Minister) সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। তিনি জানান, ১০ মিনিটের জন্য কথা বলতে চাই। কল্যাণদাকে জানিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী চাইলেই দেখা করতে পারব। একই ভাবে পুর্নম কুমারের বাবাও জানান, দিদি বিষয়টি দেখুক। আমরা দেখা করতে চাই। ১০ মিনিটের বেশি সময় নেব না।

মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের দেখা করতে চাওয়ার আবেদন শুনেই তাঁদের ফোন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) তাঁদের বলেছেন, পূর্ণমকে (Purnam Shaw) ফিরিয়ে আনা হবে। এর জন্য তিনিও উদ্যোগ নেবেন। আগামী কালই তিনি এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলের সঙ্গে কথা বলবেন। এছাড়াও তিনি অন্তঃসত্ত্বা রজনীর কোনও চিকিৎসা লাগবে কিনা তারও খোঁজ নেন। পূর্ণমের বাবা-মা-সহ পরিবারের বাকিদেরও খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, রাজ্য সরকার তাঁদের পরিবারের পাশে আছে। খুব তাড়াতাড়ি বন্দি পূর্ণমকে ফিরিয়ে আনা হবে। সবমিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলে অনেকটাই আশ্বস্ত রজনী ও তাঁর পরিবার।

২২ এপ্রিল পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার ঠিক পরদিন সীমান্তে টহল দেওয়ার সময় ভুলবশত পাক এলাকায় ঢুকে পড়ায় তাঁকে বন্দি করে পাক সেনা। হুগলির রিষড়ার বাসিন্দা পূর্ণম সাউ পোস্টিং ছিলেন পাঠানকোটে। তারপর থেকে প্রায় তিন সপ্তাহ কাটতে চলল। এখনও খোঁজ নেই পূর্ণমের। এই অবস্থায় পূর্ণমকে ফেরাতে তাঁর স্ত্রী রজনী বারবার বিএসএফ (BSF) ও কেন্দ্রের কাছে দরবার করেছেন। কিন্তু লাভ হয়নি। মৌখিক আশ্বাসে ভরসা না পেয়ে পাঠানকোটেও যান রজনী। কিন্তু খালি হাতে ফিরতে হয়েছে।

–
–

–

–

–

–


–

–

–

–
