দেশের পরিস্থিতি সঙ্গীন। লুঙ্গি-গেঞ্জি পরে ছদ্মবেশে দেশ ছেড়ে পালালেন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ (Abdul Hamid)। হাসিনা সরকারের আমলে তিনি ছিলেন দেশের সর্বোচ্চ পদাধিকারী। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে একের পর এক মামলায় জীবন সংকটে পড়ে যান তিনি। ফলে সুযোগ বুঝে বাংলাদেশে ছেড়ে পালালেন হামিদ। সূত্রের খবর, থাইল্যান্ড উড়ে গিয়েছেন তিনি।

দমন-পীড়নের সাম্প্রতিকতম উদাহরণ বাংলাদেশের (Bangladesh) ইউনূস সরকারে। আওয়ামী লিগকে (Awami League) আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালে মামলা চলা পর্যন্ত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এই পরিস্থিতি দেশ ছেড়ে পালালেন বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। সূত্রের খবর, বুধবার মাঝরাতে লুঙ্গি, গেঞ্জি পরে, মুখে মাস্ক লাগিয়ে শাহজালাল বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালে দিয়ে বিমানে চড়েন তিনি। তাঁর সঙ্গে ইমিগ্রেশনে কূটনৈতিক সুবিধার বিশেষ লাল পাসপোর্ট ছিল। গোপনীয়তার সঙ্গেই বিমানবন্দরের ভিতরে ঢোকানো হয়। কোনও তল্লাশি হয়নি বলে খবর। এর পরেই দ্রুত বিমানে উঠে পড়েন তিনি। গত বুধবার রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের বিমানে ঢাকা ছাড়েন হামিদ। তিনি থাইল্যান্ড উড়ে গিয়েছেন বলে খবর। উল্লেখযোগ্য হল, বাংলাদেশ ইমিগ্রেশনই প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে দেশ ছাড়ার সবুজ সংকেত দেয়।
আরও খবর: শিয়ালদহে আক্রান্ত তামিলনাড়ু পুলিশকে উদ্ধার করল লালবাজার, ধরল অভিযুক্তকেও

এদিকে হামিদ দেশত্যাগের ঘটনায় ইউনূস সরকারের নিন্দা করেছে BNP। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবিরের অভিযোগ, আবদুল হামিদ ফ্যাসিবাদী। অথচ তাঁর লাল পাসপোর্ট বাতিল করেনি ইউনূস সরকার। সরকারের নজর সত্ত্বেও কীভাবে পালালেন হামিদ? এটিকে অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা বলে অভিযোগ বিএনপি-র।

–

–
–

–

–

–

–


–

–

–

–
