ভারতের সীমানা ভিতরে ঢুকে জনবহুল পর্যটনস্থানে ঢুকে সাধারণ পর্যটকদের নিশানা করল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। প্রায় আধ ঘণ্টা জঙ্গি অপারেশন চলল। আবার জঙ্গিরা ভারতীয় সেনার নাগালের বাইরেও চলে গেল। পহেলগাম হামলায় (Pahalgam attack) কার্যত এভাবেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে ভারতীয় জাতীয় সংস্থাগুলির গোয়েন্দা ব্যর্থতা। ২৬ টি প্রাণের বিনিময়ে দেশের নিরাপত্তায় নজর দেওয়ায় যত্নশীল হয়েছে মোদি প্রশাসন। কাশ্মীর এলাকায় গোয়েন্দা সূত্র ধরে লস্কর জঙ্গিদের বাড়ি ধ্বংসের ঘটনাই তার প্রমাণ। এবার সোপিয়ানে (Sopian) তিন জঙ্গির গুলির লড়াইতে মৃত্যুর ঘটনায় আরও স্পষ্ট হল, ভারতের গোয়েন্দাদের নজর এড়িয়ে কীভাবে ভারতের মাটিতেই এখনও রয়ে গিয়েছে লস্কর-এ-তৈবা-র (LeT) জঙ্গিরা।
মঙ্গলবার সকাল থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের সোপিয়ানে গুলির লড়াই শুরু হয় জঙ্গি ও ভারতীয় সেনার মধ্যে। গোটা এলাকা ঘিরে নিয়ে অপারেশন শুরু হয়। সেই অপারেশনের নামও দেওয়া হয় অপারেশন কেল্লার (Operation Keller)। গুলির লড়াইতে তিন জঙ্গির মৃত্যু হয় বলে দাবি ভারতীয় সেনা সূত্রের। তার মধ্যে দুজনকে লস্করের সক্রিয় সদস্য বলে পরিচয় প্রকাশ করা হয়। তার মধ্যে একজন শাহিদ কুট্টে, যে লস্করের এ-ক্যাটাগরির জঙ্গি বলে চিহ্নিত। ২০২৪ সালে শ্রীনগরে রিসর্টে জার্মানদের খুনের চেষ্টার পাশাপাশি হিরপোরায় বিজেপি পঞ্চায়েত প্রধান হত্যায় অভিযুক্ত ছিল শাহিদ।
এছাড়াও চিহ্নিত আরেক জঙ্গি ছিল আদনান সফি দার। তাকে লস্করের (LeT) সি ক্যাটাগরির (C catagory) জঙ্গি বলে চিহ্নিত করা হয়। সোপিয়ানের (Sopian) বাসিন্দা এই জঙ্গি কাশ্মীরে পরিযায়ী শ্রমিক হত্যার ঘটনায় যুক্ত ছিল বলে দাবি করা হয়।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–