আগামী ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস। তার আগেই রাজ্য জুড়ে ৫০০টি নতুন কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। পঞ্চায়েত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কেন্দ্রগুলি ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলায় নির্মিত হয়েছে, তবে অনেক জায়গাতেই কাজ এখনও শুরু হয়নি। তাই এবার নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সবকটি ইউনিট চালু করার জন্য জেলা প্রশাসনগুলিকে কড়া নির্দেশ দিয়েছে দফতর।

বর্তমানে রাজ্যে প্রায় ২,৫০০টি কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র তৈরি হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ২,০০০টি ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে। বাকিগুলিও দ্রুত চালুর প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এই কেন্দ্রগুলির কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে যাঁরা সেগুলি পরিচালনা করবেন, তাঁদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।

একইসঙ্গে রাজ্যের প্রতিটি পুরসভায় একটি করে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনায় কাজ করছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। ‘ক্লাস্টার’ এবং একক ভিত্তিতে রাজ্যজুড়ে আরও ৬৮টি নতুন কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রক্রিয়া চলছে। বর্তমানে প্রতিদিন রাজ্যে প্রায় ৯,০০০ মেট্রিক টন কঠিন বর্জ্য তৈরি হয়। সরকারি আধিকারিকদের দাবি, এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে আগামী এক বছরের মধ্যেই প্রতিদিনের সমস্ত বর্জ্য তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা সম্ভব হবে।

স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (SUDA) এই প্রকল্পের রূপায়ণে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। ইতিমধ্যে পাঁচটি ক্লাস্টার ইউনিট চালু হয়ে গেছে, যার মাধ্যমে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের মোট ১৭টি পুরসভা উপকৃত হচ্ছে।

২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে নতুন কেন্দ্র গড়ার জন্য ঝালদা, মেখলিগঞ্জ, মাথাভাঙা, বুনিয়াদপুর, পুজালি, সোনামুখী, চন্দ্রকোনা, দিনহাটা, ঘাটাল, বিষ্ণুপুর, ধুপগুড়ি, মাল, মেমারি, বাঁশবেড়িয়া, আসানসোল, আরামবাগ, ফালাকাটা, শিলিগুড়ি, চন্দননগর, সাঁইথিয়া, দুবরাজপুর, ডালখোলা, কান্দি, পুরনো মালদা ও কুপার্স ক্যাম্প-সহ ২৫টির বেশি পুরসভায় জমি হস্তান্তর ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
এই জমিগুলি মূলত সেচ, ভূমি সংস্কার, জনস্বাস্থ্য কারিগরি ও পূর্ত দফতরের কাছ থেকে হস্তান্তর করা হয়েছে। রাজ্যের এই পরিকল্পনাকে পরিবেশ ও নাগরিক স্বাস্থ্য রক্ষায় এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন – মাথার দাম ১০ লক্ষ! বিহার থেকে গ্রেফতার খালিস্তানি জঙ্গি

_

_

_


_

_

_

_

_