Tuesday, May 13, 2025

একা থাকতে কষ্ট হচ্ছিল। যত্ন হচ্ছিল না ঠিক মতো। নিজের কাছে ছেলেকে নিয়ে আসতে চাইছিলেন। পুত্র সৃঞ্জয় দাশগুপ্ত  (Srinjay Dasgupta) ওরফে প্রীতমের মৃত্যু নিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে জানালেন রিঙ্কু মজুমদার। বিজেপি (BJP) নেতা দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) বিয়ে করার পরে ছেলের থেকে আলাদা থাকতেন রিঙ্কু। সেই ঘটনা ছেলের মনে প্রভাব ফেলেছিল বলে মনে করছেন তিনি।

কী অবস্থায় পুত্রকে দেখেন রিঙ্কু?
মঙ্গলবার, সকালে দিলীপের বাড়িতে ছিলেন রিঙ্কু মজুমদার (Rinku Majumder)। তখনই খবর পান ছেলের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। দ্রুত নিজেই গাড়ি চালিয়ে সাপুরজির আবাসনে যান। সেখানে দেখেন ছেল খাটে শুয়ে। দেখে মনে হচ্ছে গভীর ঘুমে রয়েছেন। প্রতিবেশী গায়ে তেল মালিশ করছিলেন। অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য অপেক্ষা না করে নিজেই গাড়ি চালিয়ে ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে যান দিলীপ-ঘরণী। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

রিঙ্কু জানান বেশি কিছুদিন ধরেই মনমরা ছিলেন প্রীতম। ঠিক করে খাওয়াদাওযা করছিলেন না। রিঙ্কু বলেন, “দু’-তিন দিন আমারও ঘুম হয়নি। কেন জানি না। মনে হচ্ছিল, ছেলেটা ঠিকঠাক খাওয়াদাওয়া করছে না। টেনশনে ছিলাম। আমি এখানে রান্না করছি, আর ওখানে রান্নার লোক এসে ঘুরে যেত। কখন বন্ধুর বাড়ি থাকত।”

রিঙ্কু বিয়ের পর দিলীপের বাড়ি চলে যাওয়াতেই কি মনমরা প্রীতম?  
জবাবে রিঙ্কু (Rinku Majumder) জানান, “মন খারাপ হয়ে যাচ্ছিল ওর। আমাকে বুঝতে দিত না। কিন্তু আমি বুঝতে পারছিলাম। রান্নার লোক এসে বেল বাজিয়ে ফিরে যাচ্ছিল। রান্না হচ্ছিল না। ঘুম থেকে উঠে অফিস দৌড়ত। বলত, ‘কিছু খেয়ে নেব। এটা খেয়েছি, সেটা খেয়েছি’। আমি বুঝতে পারছিলাম, খাওয়াদাওয়া ঠিক হচ্ছে না।”

ছেলের অসুস্থতার কথাও জানান মা রিঙ্কু
আর জি কর মর্গের সামনে গাড়িতে বসে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, “দেড় বছর আগে একবার জ্ঞান হারিয়েছিল। নিউরোর ওষুধ খাওয়াতাম আমি। কিছুদিন ধরে ঠিকঠাক ওষুধ খাচ্ছিল না। মুখে বলত না, কিন্তু স্বপ্ন ছিল আমার সঙ্গে থাকবে। আমি বললাম, দাঁড়া শীঘ্রই নিয়ে আসব। বলল আগে তো ঘর বানাবে! আমি বললাম, আগে তুই আসবি, তার পর ঘর বানাব। ঘর পরে হবে, আগে তুই থাকতে শুরু করে দিবি। আনন্দে ছিল যে একসঙ্গে থাকব।”
আরও খবর: দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের পুত্র প্রীতমের রহস্যমৃত্যু!

কে কে ছিলেন প্রীতমের সঙ্গে?
রিঙ্কু জানান “রাতে ওর দুই অফিস কলিগ ছিল ফ্ল্যাটে। একজন রাত ১০টা নাগাদ এসেছিল, অন্য জন ৩টে নাগাদ। কাল রাত ১২-১২.৩০টা নাগাদ শেষ বার ফোন করেছিল আমাকে। বলল, সকাল ৮টা নাগাদ সায়েন্স সিটি যাবে। দুর্গাপুর যাবে মামার সঙ্গে। বলল পরিতোষ মামাকে বলে দিও। আমি বললাম, ‘তুই ফোন করে বলে দে’!” রিঙ্কুর সঙ্গে শেষ দেখা হয় মাদার্স ডে-তে। সেদিন রিঙ্কুর বাড়ি এসেছিলেন প্রীতম।

মর্গের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন পুত্রহারা রিঙ্কু মজুমদার। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্তের পরে দেহ নিমতলা মহাশ্মশানে শেষকৃত্যুর জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।

Related articles

সন্ত্রাসবাদ রোখার সময় শান্তি চেয়ে পথে! বাম মিছিলে ইন্দিরা-স্তূতি

গোটা দেশ একজোট হয়ে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর পাশে দাঁড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তকে সমর্থনের পথে গিয়েছে সিপিআইএম (CPIM) কেন্দ্রীয়...

আন্টি ও মনে হয় আর নেই: আকুল হয়ে রিঙ্কুকে ফোন করেন প্রীতমের বান্ধবী

যে ফোনটি পেয়ে উদভ্রান্তের মতো ছুটে গিয়েছিলেন সৃঞ্জয় দাশগুপ্তর মা রিঙ্কু মজুমদার, সেটি করেছিলেন তাঁর বান্ধবী। ফোনে তিনি...

রাজ্যের পরিবহনে নতুন দিশা! à§§ কোটিরও বেশি যাত্রা সম্পূর্ণ ‘যাত্রী সাথী’র  

রাজ্য সরকারের উদ্যোগে তৈরি হওয়া অ্যাপ-নির্ভর ক্যাব পরিষেবা ‘যাত্রী সাথী’ ইতিমধ্যেই ১ কোটিরও বেশি সফল যাত্রা সম্পূর্ণ করেছে।...

রেকর্ড রূপান্তরকামীদের! সিবিএসই দশম-দ্বাদশের ফল প্রকাশ, এগিয়ে মেয়েরাই 

একইসঙ্গে প্রকাশিত হল সিবিএসই দশম ও দ্বাদশের ফল। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৩৯ দিনের মাথায় প্রকাশিত হল সেন্ট্রাল বোর্ড...
Exit mobile version