টানা ২২ দিন চোখের পাতা এক করতে দেওয়া হয়নি। সেই সঙ্গে চলেছে অকথ্য মানসিক নির্যাতন। পাক রেঞ্জার্সের হাত থেকে BSF জওয়ান পূর্ণমকুমার সাউ (Purnam Kumar Shaw) মুক্তি পাওয়ার পরেই সূত্র মারফৎ প্রকাশ্যে বন্দিদশার নারকীয় অত্য়াচারের বিবরণ।

পহেলগাম হামলার পরদিন ভুল করে পাক ভুখণ্ডে ঢুকে পড়ে পাক রেঞ্জার্সের হাতে বন্দি হন হুগলির বিএসএফ জওয়ান পূর্ণমকুমার সাউ (Purnam Kumar Shaw)। তারপর ২২ দিনের রুদ্ধশ্বাস স্নায়ুযুদ্ধ। উদ্যোগ নিয়েছিলেন খোদ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দুই দেশের দফায় দফায় বৈঠকের শেষে বুধবার সকালে পাক সেনার হাত থেকে মুক্তি পেয়েছেন পূর্ণম। তারপর নিয়ম মেনে হয়েছে শারীরিক পরীক্ষা। দফায় দফায় বিএসএফ কর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাঁকে। সেখানেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিএসএফ সূত্রে খবর, আটক করার পর থেকেই অধিকাংশ সময়ই চোখ বেঁধে রাখা হয়েছিল পূর্ণমের। তবে মোট তিন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তারমধ্যে ছিল এয়ারবেসও। এয়ারক্রাফ্টের শব্দ শুনে এমনটাই অনুমান পূর্ণমের। রাখা হয়েছিল গারদেও।

শারীরিক অত্যাচার না করা হলেও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত করে দেওয়া হয়েছে পূর্ণমকে। টানা ২২ দিন এক করতে দেওয়া হয়নি চোখের পাতা। সেই সঙ্গে চলেছে অকথ্য গালিগালাজ। বিএসএফের একাধিক গোপন তথ্য আদায়ের চেষ্টাও করেছিল পাক সেনা। সীমান্তে কীভাবে সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে, সেই সংক্রান্ত খবর জানার চেষ্টা চলেছে। একাধিক অফিসারদের ব্যক্তিগত তথ্য ও নম্বরও আদায়ের চেষ্টা করেছে পাক সেনা, এমনটাই খবর। তবে পূর্ণমের কাছে ফোন না থাকায় বিশেষ লাভ করতে পারেনি তাঁরা।
আরও খবর: ৬৭২ বাতিতে সেজে উঠবে দিঘার জগন্নাথ মন্দির, কাজ শুরু করল হিডকো

যদিও এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ পূর্ণমের পরিবার। তাঁর স্ত্রী রজনী বলেন, ‘’ও শারীরিক ভাবে একদম ঠিক রয়েছে। তবে মনের উপর চাপ পড়েছে। সেটাই স্বাভাবিক। এতদিন অন্য দেশে ছিল। তাও আবার পাকিস্তান। অনেকেই সেখানে ওকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তবে ও আমাকে এ সব নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেনি।’’

–

–
–

–

–

–

–

–

–

–

–
