লক্ষ্মীবারের দুপুরে পদ্ম শিবিরে যোগ ধাক্কা। বিজেপি (BJP) ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা (John Barla)। আর তৃণমূল (TMC) ভবনে দলে যোগ দিয়েই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Subhendu Adhikari) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বার্লা। একই সঙ্গে বিজেপিকে তুলোধনা করেন তিনি। তাঁর কথায়, বাংলায় উন্নয়ন করতে পদে পদে বাধা দিতেন শুভেন্দু-সহ বাংলার বিজেপি নেতৃত্ব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অকুণ্ঠ ধন্যবাদ তিনি আদিবাসীদের অধিকার দিয়েছেন, চা শ্রমিকদের দিয়েছেন জমির পাট্টা। সুব্রত বক্সি, অরূপ বিশ্বাসের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগ দেন জন বার্লা। ছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদারও ।

এর পরেই একের পর এক উদাহরণ তুলে বিজেপিকে তুলোধনা করেন জন বার্লা (John Barla)। তিনি বলেন, “আমি চেয়েছিলাম চা বাগান নিয়ে কাজ করতে। মন্ত্রী হয়েছিলাম। কাজ করতে গিয়ে সবসময় বাধা পেয়েছি। রেলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ১৬০ কোটি টাকার হাসপাতাল তৈরি করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বিরোধী দলনেতা বাধা দিতেন। জনতার আশীর্বাদে জিতেছিলাম কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর বাধায় কোনও কাজ করতে পারেনি।” জন বার্লার দাবি, “জমি চিহ্নিতকরণের কাজও হয়ে গিয়েছিল। শুধু বাকি ছিল মউ স্বাক্ষর। শুভেন্দু সোজা রেলদফতরে ফোন করেন। কাজে বাধা দেন। কাজ করতে দিতেন না।“ এর পরেই সদ্য শাসকদলে যোগ দেওয়া নেতা প্রশ্ন তোলেন, “কেন এই দল করব যে আমাকে বাধা দেয়? আমার দলই আমাকে অপমান করেছে। উন্নয়নের কাজ করতে দিত না।” তিনি বলেন, ”দিদি আমাকে সম্মান দিয়েছেন। যে সম্মান বিজেপি কোনোদিন আমাকে দেয় নি।”

রাজ্যের আদিবাসী উন্নয়ন ও চা শ্রমিকদের জমির পাট্টা দেওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অকুণ্ঠ ধন্যবাদ জানান জন বার্লা। বলেন, “২০০৭ সাল থেকে চা বাগানের পাট্টার জন্য লড়াই করছেন শ্রমিকরা। কিন্তু পাননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর চা বাগানের জন্য অনেক কিছু করেছেন। জমির পাট্টাও দিয়েছেন।” এই প্রসঙ্গে ডবল ইঞ্জিনের অসম সরকারের প্রসঙ্গ তোলেন বার্লা। বলেন, অসমে ৫ লাখ চা বাগান শ্রমিক। সেখানে ডবল ইঞ্জিন সরকার। অথচ এক ইঞ্চি জমি পায়নি কেউ। কেন্দ্রীয় বাজেটে বাংলার চা-বাগানের কথা ওঠে না বলেও অভিযোগ করেন সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া নেতা। তাঁর কথায়, উত্তরবঙ্গের মানুষের সঙ্গে বিজেপি বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে। সবেচেয়ে বেশি অবহেলিত চা বাগানের মানুষজন। তাই সামগ্রিকভাবে এলাকার উন্নয়নের স্বার্থেই এই পদক্ষেপ।

এর পরেই বিস্ফোরক অভিযোগ করেন জন বার্লা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী হতে চান শুভেন্দু অধিকারী। সেই কারণ রাজ্যের সব উন্নয়নে বাধা দিয়ে বিরোধিতা করছেন। বার্লার কথায়, বিজেপির কোনও উন্নয়ন মূলক প্রকল্প নেই নেই যা দেখে লোকে বিজেপিতে আসবে। শুধুই বিরোধিতা। বিজেপি আদিবাসীদের বিভাজন করতে চাইছে। বিভাজনের রাজনীতি করে বাংলার ক্ষতি করছে চাইছে।

জন বার্লার অভিযোগ, বাংলার ১০০ দিনের টাকা আটকে থাকার পিছনে বিজেপির ষড়যন্ত্রের তথ্য প্রমাণ আছে তাঁর কাছে। আগামী দিনে সেই সব তিনি প্রকাশ্যে আনবেন।
–

–

–

–

–


–

–

–

–

–