তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ তৈরিতে পূর্ব ভারতের বৃহত্তম শিক্ষা ও ক্যারিয়ার মেলা শুরু হল কলকাতায়। ক্যারিয়ার প্ল্যানার এডুফেয়ারের উদ্যোগে আয়োজিত ১৭ মে (শনিবার) ‘এডুকেশন ইন্টারফেস ২০২৫’-এর (Education Interface 2025) উদ্বোধন করেন নগরোন্নয়ন ও পুরবিষয়ক মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandeb Chatterjee), ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ, বিদ্যুৎ এবং আবাসন দফতরের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas)। এছাড়াও ছিলেন টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সত্যম রায়চৌধুরী (Satyam Roychowdhury), জেআইএস গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর তরঞ্জিত সিং-সহ বিশিষ্টরা। এই ক্যারিয়ার ফেয়ার চলবে আগামী ১৯ মে পর্যন্ত। দেশের ১৫০টিরও বেশি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে এই ইভেন্টে। সকাল ১১ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত প্রবেশ অবাধ।

ভবিষ্যতে যাঁরা ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিক্যাল, ডেটা সায়েন্স, হসপিটালিটি, স্থাপত্য, ডিজাইন, পলিটেকনিক, গণমাধ্যম, ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্স, নার্সিং, পশুচিকিৎসা বিজ্ঞান এবং আইটিআই-সহ নানা বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে চান বা ক্যারিয়ার গড়তে চান তাঁদের জন্য ‘এডুকেশন ইন্টারফেস ২০২৫’ নিঃসন্দেহে এক নির্ভরযোগ্য পথপ্রদর্শক হয়ে উঠতে চলেছে। এখানে একাধিক শিক্ষাক্ষেত্র ও পেশাভিত্তিক কোর্স সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা এবং পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী, স্নাতক ও পেশাগত স্তরের ছাত্রছাত্রীরা সরাসরি কলেজ প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করার সুযোগ পাচ্ছেন। এই মেলায় প্রি-কাউন্সেলিং সেশন, লাইভ ক্যারিয়ার গাইডেন্স, স্কলারশিপের তথ্য, সরকারি শিক্ষা নীতি, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্প ও এডুকেশন লোন বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা হচ্ছে, যা শিক্ষার্থীদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে বলে আশাবাদী উদ্যোক্তারা।

পূর্ব ভারতের এই বৃহত্তম শিক্ষা ও ক্যারিয়ার মেলা দু-দশকে পদার্পণ করল। প্রথম দিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ক্যারিয়ার প্ল্যানার এডুফেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা ও আয়োজক দীপক সিনহা রায় (Dipak Sinha Roy, Organiser & Founder, Career Planner Edufair) বলেন, “ক্যারিয়ার পরিকল্পনা এখন শুধুমাত্র পরীক্ষার নম্বর দিয়ে নির্ধারিত হয় না, বরং সঠিক সময়ে সঠিক পরামর্শ পাওয়াটাই গুরুত্বপূর্ণ। এডুকেশন ইন্টারফেস ২০২৫ আমাদের সেই প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন। আজ উদ্বোধনের দিনেই হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবকের উপস্থিতি আমাদের এই প্রচেষ্টার গুরুত্ব প্রমাণ করে।এই মেলা শিক্ষার ক্ষেত্র ও চাকরির জগতের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগসূত্র তৈরি করছে। শিক্ষার সুযোগকে জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়ারই আমাদের মূল উদ্দেশ্য যা আজ আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।

–

–

–
–

–

–

–

–

–

–

–

–

–

–