ভোটার তালিকায় বেআইনি হস্তক্ষেপের অভিযোগে এক সরকারি আধিকারিককে সাসপেন্ড করার পর এবার কড়া পদক্ষেপ নিল নির্বাচন কমিশন। শনিবার কলকাতার অহিন্দ্র মঞ্চে ভোটার তালিকা সংশোধনের দায়িত্বে থাকা ১১৬ জন নির্বাচনী আধিকারিককে নিয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ ও দক্ষতাবৃদ্ধি কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ কুমার আগরওয়ালের উপস্থিতিতে এই কর্মশালার সূচনা হয়। তিনি বলেন, “নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বজায় রাখতে তথ্যপ্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার অপরিহার্য।” আধিকারিকদের আইনি ও প্রযুক্তিগত জ্ঞান বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন।

প্রশিক্ষণে অংশ নেন ১২ জন সিস্টেম ম্যানেজার, ৪৯ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সিস্টেম ম্যানেজার এবং ৫৫ জন ডেটা এন্ট্রি অপারেটর। তাদের ভোটার রেজিস্ট্রেশন, ইআরও-নেট ২.০, ভোটার হেল্পলাইন অ্যাপ এবং অন্যান্য ডিজিটাল অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পাশাপাশি আরপি অ্যাক্ট, ১৯৫০-র প্রাসঙ্গিক ধারাও বিশদে ব্যাখ্যা করা হয়।

এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য আধিকারিকদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেওয়া এবং ভবিষ্যতে যাতে কোনো রকম অনিয়ম না ঘটে, তা নিশ্চিত করা। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত অনলাইনে ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে করা সমস্ত কাজের বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।

এর পেছনে রয়েছে সাম্প্রতিক কাকদ্বীপ কাণ্ড। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ মহকুমার সহকারী সিস্টেম ম্যানেজার অরুণ গড়াইকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ভোটার তালিকায় বেআইনিভাবে প্রায় ৩৫০টি ভুয়ো নাম তোলার অভিযোগে। অভিযোগ, যুগ্ম বিডিও স্বপনকুমার হালদারের লগইন আইডি ব্যবহার করে তিনি এই অনিয়ম করেন এবং ফোন নম্বরও বদলে দেন নিজের নম্বরে। কমিশন এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কঠোর বার্তা দিতে চায়—নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রস্তুত করাই তাদের অগ্রাধিকার, আর তাতে গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না।

আরও পড়ুন – সরকারি জমির রেকর্ড এবার অনলাইনে, ‘বাংলার ভূমি’ পোর্টালে মিলবে সব তথ্য
_

_

_

_

_

_

_

_

_
