“যেখানে যা পরিবর্তন আমাদের নেত্রীর অনুমোদনে হয়েছে। কোথায় কে থাকবেন, না থাকবেন, বিগত দিনে তাঁরা কেমন কাজ করেছেন, তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।“ তৃণমূলের (TMC) সাম্প্রতিক সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে স্পষ্ট জানালেন দলে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। দিল্লি (Delhi) যাওয়ার আগে সোমবার, কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কলকাতা উত্তর ও বীরভূমে জেলা সভাপতি পদ না রাখার বিষয় নিয়েও জানান অভিষেক।

ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে তৃণমূলের সাংগঠিক স্তরে রদবদল হয়। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, “যেখানে যা পরিবর্তন আমাদের নেত্রীর অনুমোদনে হয়েছে। কোথায় কে থাকবেন, না থাকবেন, বিগত দিনে তাঁরা কেমন কাজ করেছেন, তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, এমপি হয়ে গিয়েছেন, তাঁদের জেলা স্তর থেকে সরিয়ে রাজ্য স্তরে আনা হয়েছে। তাঁরা রাজ্য স্তরে সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন, সহ সভাপতি হয়েছেন, কেউ সম্পাদক হয়েছেন। যাঁরা এতদিন জেলা স্তরে কাজ করেছেন, তাঁরা রাজ্য স্তরে কাজ করবেন।”

একই সঙ্গে অভিষেক (Abhishek Banerjee) স্পষ্ট করেন যে, কাউকে বিশেষ সুযোগ দেওয়া বা কাউকে বিশেষভাবে পুরস্কৃত করা হল- তেমন নয়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককের কথায়, “অনেককে জেলাস্তরে নতুন করে সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। যাঁরা খুব ভালো চেষ্টা করেছে, কিন্তু আশানুরূপ ফল করতে পারেনি, তাঁদেরকেও পুরস্কৃত করেছি অনেক জায়গায়।”

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডলের নাম উল্লেখ করে অভিষেক বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই নেতাজি ইন্ডোরের বৈঠকে বলেছিলেন, অনুব্রত মণ্ডল কোর কমিটিতে থাকবেন। বীরভূমে কোর কমিটির মিটিংও হয়েছে। উত্তর কলকাতার ক্ষেত্রে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়ারম্যান রয়েছেন। সেখানে সাত জন বিধায়ক, তাঁদের সঙ্গে আরও দুজন, ট্রেড ইউনিয়নের স্বপন সমাদ্দার ও জীবন সাহা সংযোজিত করা হয়েছে। ৯ জনের কোর কমিটি করা হয়েছে। টিম ওয়ার্ক করে কাজ করবে। কার ক্ষমতা খর্ব হল, কাকে বেশি পুরস্কৃত করা হল, সেভাবে দেখা ঠিক নয়।”

–

–
–

–
–

–

–

–

–

–

–
