স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে আবারও নজরকাড়া সাফল্য বাংলার। যদিও কেন্দ্র এখনও ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের চূড়ান্ত রাজ্যভিত্তিক তালিকা প্রকাশ করেনি, তবে জেলার ভিত্তিতে পাওয়া তথ্যে হুগলি জেলার অভাবনীয় অগ্রগতি রাজ্যজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে। জেলার ডাকঘরগুলিতে লক্ষ্যমাত্রার ১০৮ শতাংশ অর্থ আদায় হয়েছে, যা এক অভাবনীয় সাফল্য বলেই মনে করছে রাজ্য অর্থদপ্তর।

পিপিএফ, রেকারিং ডিপোজিট, সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা ও মান্থলি ইনকাম স্কিমের মতো প্রকল্প সাধারণ মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের অধীনে থাকা এই প্রকল্পগুলি ডাকঘর ও ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়, আর সেখানেই হুগলি জেলার সক্রিয় প্রচার ফল দিয়েছে হাতে নাতে।

২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে রাজ্যের ডাকঘরগুলির মোট লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১,৮৩,৫০০ কোটি টাকা, যার মধ্যে প্রায় ৯৯ শতাংশ অর্থ আদায় সম্ভব হয়েছে। আদায়ের নিরিখে প্রথম স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা (২৭,৩৭৮ কোটি টাকা), আর তালিকার একেবারে নীচে রয়েছে মালদহ (২,৪৩৪ কোটি টাকা)।

হুগলির সাফল্যের পেছনে রয়েছে ধারাবাহিক প্রচার, যেটির নেতৃত্ব দিয়েছে রাজ্যের স্বল্প সঞ্চয় দপ্তর। স্থানীয় কর্মী ও অফিসাররা এক বছর ধরে গ্রামে গ্রামে ঘুরে মানুষের মধ্যে সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে সচেতনতা বাড়িয়েছেন। তাঁদের দাবি, মানুষের মধ্যে সঞ্চয়ের প্রয়োজনীয়তা ও সরকারি প্রকল্পে বিনিয়োগের লাভ বোঝাতেই এই সাফল্য এসেছে। রাজ্য সরকারের তরফে এই সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে অন্যান্য জেলাগুলিকেও হুগলির পথ অনুসরণ করে স্বল্প সঞ্চয়ের দিকে আরও বেশি করে গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থ দফতরের কর্তারা।

আরও পড়ুন – পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ছিলেন বাবা-মা, দুশ্চিন্তার কথা জানালেন মইন আলি

_
_

_
_

_

_

_

_

_

_
