পাকিস্তানকে আইএমএফ-এর অনুদান আগেই আপত্তি জানিয়েছিল ভারত। এই টাকায় শুধুমাত্র জঙ্গি ফান্ডিং হবে বলে আগেই জানিয়েছিল ভারত। তারপরেও পাকিস্তানকে (Pakistan) ২৪০ কোটি ডলারের ঋণ মঞ্জুর করেছে ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড (IMF)। তারপরেও ভারত গলা চড়িয়ে দাবি জানিয়েছে, বিদেশি ঋণের টাকা কোথায় যাচ্ছে, তার নজরদারি (monitoring) চাই। কার্যত ভারতের এই কথার মান্যতা দিয়েই এক সুরে গলা মেলাল আন্তর্জাতিক অর্থ সাহায্যকারী সংগঠন। পাক সরকারের পায়ে কার্যত শিকল পরাল তারা।

পাকিস্তানের ঘাড়ে প্রায় ১০ দফা শর্ত চাপিয়েছে আইএমএফ। ভারতের অপারেশন সিন্দুর অভিযানে নিকেশ জঙ্গিদের পরিবারকে কোটি কোটি টাকা এবং বাড়িঘর তৈরি করে সাহায্য করছে পাকিস্তানের শাহবাজ (Shahbaz Sharif) সরকার।

১৭.৬ লক্ষ কোটির নতুন বাজেটকে পার্লামেন্টে অনুমোদন করানো, বিদ্যুৎ বিল ও ঋণ পরিষেবার ক্ষেত্রে সারচার্জ বৃদ্ধি এবং তিন বছরের বেশি পুরনো গাড়ি আমদানির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার—এমনই কড়া শর্ত পাকিস্তানের উপর চাপিয়েছে আইএমএফ। আইএমএফ সতর্ক করেছে, ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়লে পাকিস্তানের অর্থনীতিতে তার বিরূপ প্রভাব পড়বে। সেক্ষেত্রে ঘোষিত কর্মসূচির আর্থিক ও অন্যান্য লক্ষ্যপূরণ নিয়েই প্রশ্ন উঠবে। শর্তে বলা হয়েছে, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে বাজেটের ১.০৭ লক্ষ কোটি টাকা উন্নয়ন খাতে ব্যয় করতে হবে। এর জন্য আগামী জুন পর্যন্ত সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে শর্ত পূরণ হলে তবেই ঋণের কিস্তি ছাড়া হবে।

শনিবার স্টাফ লেভেল রিপোর্ট প্রকাশ করেছে আইএমএফ। সেখানে পরবর্তী অর্থবর্ষে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ ২.৪২৪ লক্ষ কোটি পাকিস্তানি টাকা দেখানো হয়েছে। যা আগের বছরের তুলনায় ২৪ হাজার ১০০ কোটি টাকা বেশি। আইএমএফ (IMF) সাফ জানিয়েছে, ইচ্ছামতো কিছুই করতে পারবে না পাকিস্তান। সবটাই থাকবে নজরদারিতে (monitoring)। প্রশাসনিক সংস্কার ও অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য যে পরিকল্পনাই পাক সরকার করুক না কেন, জানাতে হবে আইএমএফকে। তবে এবার কি একরকম বাধ্য হয়েই জঙ্গিদের পাশে থাকতে পারবে না শরিফ সরকার?

–

–
–

–

–

–

–

–

–

–
