ভারতীয় সেনা আধিকারিক সোফিয়া কুরেশির (Sofia Qureshi) বিরুদ্ধে কুরুচিকর যে মন্তব্য মধ্যপ্রদেশের বিজেপির মন্ত্রী বিজয় শাহ (Vijay Shah) করেছেন, তার জন্য গোটা দেশ লজ্জিত। পর্যবেক্ষণে এমনভাবে বিজেপির মন্ত্রীকে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। এমনকি তিনি ক্ষমা চেয়ে যে ভিডিও পোস্ট করেছেন তারও তীব্র কটাক্ষ করেন বিচারপতি সূর্য কান্ত। এই মামলায় সিট (SIT) গঠন করে ২৮ মে-র মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রী বিজয় শাহ ভারতীয় সেনা আধিকারিক সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন তার জন্য মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের নির্দেশে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের হয়েছে। হাইকোর্টে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দিয়েছে। সেই নির্দেশের পাল্টা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মন্ত্রী শাহ। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি এন কে সিংয়ের বেঞ্চের সামনে সোমবার তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় বিজেপির মন্ত্রীকে।

শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন, ক্ষমা চাওয়া শব্দের একটা অর্থ থাকে। কখনও পরিস্থিতির চাপে পড়ে ক্ষমা চাওয়া হয়, কখনও কুমিরের কান্না। আপনারটা কোন প্রকৃতির? মন্ত্রীর মন্তব্যকে বাজে কথা ও ভাবনা চিন্তাহীন মন্তব্য বলে উল্লেখ করা হয়। সেই সঙ্গে আদালতের প্রশ্ন, আপনি অনেক সময় পেয়েছিলেন, কেন আন্তরিক কোনও পদক্ষেপ নেননি? এখন আদালতে এসে ক্ষমা চাওয়া কী আদালত অবমাননা নয়?

একজন জনপ্রতিনিধি ও দায়িত্বশীল রাজনীতিক হয়েও বিজয় শাহের করা মন্তব্যকে শীর্ষ আদালত অপমানজনক ও নোংরা বলে উল্লেখ করে। সেনা বাহিনীর প্রতি তাঁর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি ক্ষমা চেয়ে যে ভিডিও পোস্ট করেছেন তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি সূর্য কান্ত পর্যবেক্ষণে জানান, যে ভঙ্গিতে ক্ষমা চেয়েছেন বিজেপির মন্ত্রী তা থেকে স্পষ্ট তিনি নিজের ভুল স্বীকার করতে আগ্রহী নন।

সেই সঙ্গে এই ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে এফআইআর দায়ের না হওয়ায় প্রশ্ন তোলা হয় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। মঙ্গলবার সকাল ১০টার মধ্যে ৩ সদস্যের সিট (SIT) গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়। তার মধ্যে অবশ্যই একজন মহিলা আইজি পদমর্যাদার আধিকারিক থাকবেন। বাকি দুই আধিকারিকও আইজি (IG) অথবা পুলিশ সুপার পদমর্যাদার হবেন বলে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৮ মে। তার মধ্যেই রিপোর্ট জমা দেবে সিট।

–
–

–
–

–

–

–

–

–
