ভাঙা পা জোড়া লাগাতে এসে গোড়ালি খুইয়ে বসলেন প্রৌঢ়। বিহারের (Bihar) ভেঙে পড়া ডবল ইঞ্জিন প্রশাসনের হাতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বর্তমান পরিস্থিতি তা তুলে ধরল রাজধানীর প্রধান মেডিক্যাল কলেজ। অসুস্থ রোগীর পা খেয়ে নিল ইঁদুর (rat)। এর আগে এই হাসপাতালেই মৃতদেহের চোখ খেয়ে নিয়েছিল ইঁদুর। তারপরেও যে নীতীশ প্রশাসন এতটুকু জনস্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হয়নি, তারই প্রমাণ দিল পাটনা (Patna) হাসপাতালের এই ঘটনা।

পাটনার বাসিন্দা অবোধেশ কুমার ভাঙা পা নিয়ে পাটনার নালন্দা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (NMCH) ভর্তি হন। চিকিৎসার জন্য তাঁকে ২১ দিন ধরে হাসপাতালে থাকতে হয়। আচকমাই এক রাতে ঘুম ভেঙে তিনি দেখেন তাঁরা আহত পায়ের তলায় রক্ত ভেসে যাচ্ছে। দ্রুত কর্তব্যরত নার্সদের খবর দিলে তাঁরা চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। তখনই জানা যায় তার দুটি গোড়ালিই (toes) ইঁদুরে (rat) খেয়ে নিয়েছে।

এই ঘটনার পরই চাঞ্চল্য ছড়ায় রোগীদের মধ্যে। যদিও নিজেদের গাফিলতি ঢাকতে রোগী ও তাদের পরিজনের উপরই দোষ চাপাতে ব্যস্ত হাসপাতাল প্রশাসন। তাঁদের দাবি, রোগীরাই ওয়ার্ড ও হাসপাতালের চারিদিকে খাবার ছড়িয়ে নোংরা করে। সেই কারণেই ইঁদুরের উপদ্রব।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এহেন অজুহাতের পরে নীতীশ কুমারের ডবল ইঞ্জিন সরকারকে এক হাত নিতে ছাড়েননি আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। তাঁর অভিযোগ, নালন্দা হাসপাতালেই (NMCH) মাসখানেক আগে একটি মৃতদেহের চোখ খেয়ে নিয়েছিল ইঁদুর। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা লালু প্রসাদ যাদবের প্রশাসন যে উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া শুরু করেছিল, তাকেই নীতীশ কুমার কোন জায়গায় নামিয়ে এনেছেন, এই ঘটনা তারই প্রমাণ, দাবি তেজস্বীর।

–

–
–

–
–

–

–

–

–

–
