বিশ্বের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে (Harvard University) আর পড়াশুনা করতে পারবেন না বিদেশিরা। নয়া নির্দেশ ট্রাম্প প্রশাসনের (Donald Trump Government)। ভারতীয়দের পাশাপাশি অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘নো এন্ট্রি’ হয়ে গেল। আপাতত যেসব পড়ুয়া হার্ভার্ডে পড়াশোনা করছেন তাঁদের অন্যত্র চলে যেতে হবে। কিন্তু কেন এ সিদ্ধান্ত? ট্রাম্প সরকারের সাফাই, দেশের নিরাপত্তা নিয়ে তদন্তকারীদের সিদ্ধান্তেই কোপ বসানো হয়েছে বিশ্বের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে!

হোমল্যান্ড সিকিউরিটির (Homeland security) তরফে জানানো হয়েছে চিনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে হাত মেলানো, হিংসা সমর্থন করা, ইহুদিদের বিরুদ্ধে ভেদাভেদ করার জন্য হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে এই কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে।

প্যালেস্টাইনে হামলার প্রতিবাদে আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইজরায়েল-বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেই তালিকায় ছিল এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০ কোটির অনুদান বন্ধ করে দেয় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার। তুলে নেওয়া হয় করছাড়ের মর্যাদাও। বহু গবেষক, বিজ্ঞানীদের কাজ আটকে দেওয়া হয়। আর এবার সরাসরি ‘দেশদ্রোহী’ আখ্যা দিয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি পড়ুয়াদের নো এন্ট্রি করে দেওয়া হলো। মার্কিন প্রশাসনের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, হার্ভার্ডের এই অবস্থা থেকে যেন দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি সাবধান হতে পারে। এর আগে যখন ইহুদি বিদ্বেষের অভিযোগ তুলে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে দশ দফা নির্দেশনামা পাঠানো হয়, তখন হার্ভার্ড নিজেদের অবস্থান থেকে নড়েনি। কিন্তু এবার কী হবে? এই মুহূর্তে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হল। হোমল্যান্ড সিকিয়োরিটির তরফে জানানো হয়েছে, বিদেশিদের ভর্তি করার অধিকার থেকে শুরু করে এক্সচেঞ্জ ভিজিটর প্রোগ্রাম সার্টিফিকেশন (Exchange Visitor Program Certification) পেতে হলে হার্ভার্ডকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে দিতে হবে প্রশাসনের হাতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে বিশ্বের ১৪০ টি দেশ থেকে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেন। তাই সরকারের এই পদক্ষেপ বেআইনি। হার্ভার্ডে বর্তমানে ৭৮৮ জন ভারতীয় পড়ুয়া (Indian Students) পড়াশুনা করছেন। তাঁদের নিয়ে মার্কিন মুলকের সঙ্গে নয়া দিল্লির কোনও আলোচনা হয় কিনা এখন সেটাই দেখার।

–

–

–
–

–
–

–

–

–

–

–

–

–

–
–