দেশের মানুষের যখনই যে জায়গায় সবথেকে বেশি প্রয়োজন হয়েছে পাশে দাঁড়ানোর, তখনই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। পহেলগাম হামলা (Pahalgam attack) থেকে পাকিস্তানের লাগাতার ড্রোন হামলার সময় একইভাবে বিহার নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন দেশের প্রধানমন্ত্রী। আর কাশ্মীরের লাগাতার মর্টার আর গুলির শিকার বাসিন্দাদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে সেই বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি (five member delegation) দলের কাশ্মীরের তিন জায়গায় গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলার পরে আশ্বস্ত বোধ করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাও (Omar Abdullah)। এমনকি তৃণমূলের প্রতিনিধিদলের সফরের পরেই কাশ্মীর সফরে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীও (Rahul Gandhi)।
২১ মে থেকে ২৩ মে কাশ্মীরের পুঞ্চ, রাজৌরি ও জম্মুতে সীমান্তবর্তী এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলতে যান তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। এর আগে পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণার পরই মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা (Omar Abdullah) এই সব এলাকায় গিয়ে আক্রান্ত ও নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সব রকম সহযোগিতার ব্যবস্থা করে দেন। তাই তিনি জানতেন এই সব এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়ানো কতটা প্রয়োজন। তাই তৃণমূলের প্রতিনিধিদল যেতে তিনি নিজেও আশ্বস্ত বোধ করেন।
শুক্রবার তৃণমূলের প্রতিনিধিদলের কাশ্মীরের আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শনের পরই শনিবার সেখানে যান বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। এই প্রেক্ষিতেই জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা (Omar abdullah) জানান, মন থেকে তৃণমূল (TMC delegation) কংগ্রেসের প্রতি কৃতজ্ঞ। তাঁরাই প্রথম এসেছেন কাশ্মীরে। ওনাদের পাঁচ সদস্য আসেন। সড়ক পথে তাঁরা যান। পুঞ্চে যান। সেখান থেকে রাজৌরি, জম্মু। ওনাদের আসা ও মানুষের কথা শোনার বিষয়টি একটি বড় ঘটনা। আমাদের মনে হচ্ছে যেন কেউ আমাদের পাশে রয়েছেন।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–