কাশ্মীর সীমান্তের গ্রামগুলিতে লাগাতার মর্টার আর গুলির শিকার বাসিন্দাদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের পাঁচ প্রতিনিধি কাশ্মীরের পুঞ্চ-রাজৌরি-জম্মুতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলের এই প্রচেষ্টাকে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এক্স হ্যান্ডেলে মূখ্যমন্ত্রী লেখেন, পুঞ্চ এবং রাজৌরি জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা পরিদর্শনকারী আমাদের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদলের উদ্যোগের জন্য আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। তাঁরা শোকাহত পরিবারগুলির সাথে দেখা করেছেন, তাঁদের দুঃখ ভাগ করে নিয়েছেন এবং এই তীব্র বেদনার সময়ে সান্ত্বনা ও সমর্থন জানিয়েছেন।

এই প্রতিনিধিদলটি রাজৌরির সরকারি মেডিকেল কলেজ পরিদর্শন করে আহত এবং চিকিৎসাধীনদের খোঁজখবর নেন। তাঁরা সেখানকার চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের অপরিসীম কর্তব্যের জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এই সংকটময় পরিস্থিতিতে মানুষের সবথেকে বেশি যা প্রয়োজন তা হল, করুণার মর্মস্পর্শী ছোঁয়া এবং আমি সেখানেই আমাদের প্রতিনিধিদলের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যে তাঁরা পাশে দাঁড়িয়ে সেটাই দিয়েছেন। এটা আমাদের সকলের সেই প্রতিশ্রুতিকে প্রতিষ্ঠা করেছে যে জনপ্রতিনিধি হিসাবে আমরা সবমসয় জনগণের প্রয়োজনে তাঁদের পাশে থাকব।

পহেলগাঁওতে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি হামলা থেকে পাকিস্তানের লাগাতার ড্রোন হামলার সময় যখন বিহার নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত দেশের প্রধানমন্ত্রী, তখন কাশ্মীর সীমান্তের অসংখ্য বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল সাংসদরাই। ওই প্রতিনিধি দলে আছেন ডেরেক ও’ব্রায়েন, মহম্মদ নাদিমুল হক, মানসরঞ্জন ভুঁইঞা, সাগরিকা ঘোষ এবং মমতাবালা ঠাকুর। ২১ মে থেকে ২৩ মে পর্যন্ত শ্রীনগর, পুঞ্চ এবং রাজৌরির বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে তাঁরা মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন, শোকসন্তপ্ত পরিজনদের সঙ্গে কথা বলেন, তাঁদের দুঃখে ভাগ নেন এবং জানিয়ে আসেন সমবেদনার বার্তা।

আরও পড়ুন – স্বামী পূর্ণমকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান ‘কৃতজ্ঞ’ রজনী

_

_

_

_

_
_
_
_
_