Sunday, August 24, 2025
উৎপল সিনহা

Failure is the piller of success .
Every failure is a step to success .
If you try , nothing is impossible .

আছে হার আছে জিত । আছে জয় আছে পরাজয় ।
কিন্তু হেরে গিয়ে হাল ছেড়ে দিলেই সব শেষ ।

চাই অদম্য জেদ আর দৃঢ় প্রত্যয় । চাই দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে ঘুরে দাঁড়ানোর দুর্মর প্রয়াস । ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয় । চাইলে মানুষ কী না পারে । প্রাইমারীতে দু’বার ফেল । মাধ্যমিকে তিনবার ফেল। চাকরির পরীক্ষায় ৩০ বার ফেল । ব্যর্থতায় বিপন্ন জীবন। সেই মানুষটিই এখন হাজার হাজার মানুষের অন্নদাতা ।

চীনে যখন কে এফ সি আসে তখন ২৪ জন চাকরির জন্য আবেদন করেন । এঁদের মধ্যে ২৩ জনের চাকরি হয় । শুধুমাত্র একজন বাদ পড়েন। সেই মানুষটি আর কেউ নন , যিনি হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ১০ বার আবেদন করে দশবারই প্রত্যাখ্যাত হন। প্রত্যাখ্যান ও ব্যর্থতা যাঁর জীবনকে অক্টোপাসের মতো বেঁধে ফেলেছিল , সেই মানুষটিই একদিন উঠলেন সাফল্যের এভারেস্ট চূড়ায় ।কীভাবে ? কেমন করে ?

নিজের প্রতি বিশ্বাস না হারালে এবং শেষপর্যন্ত লড়াই না ছাড়লে সব কিছুই সম্ভব । সাফল্যের বরমাল্য পরে হাসতে হাসতে পৃথিবীকে এই লড়াকু বার্তা যিনি দিয়েছেন তাঁর নাম জ্যাক মা। ফোর্বস ম্যাগাজিনের হিসেবে ইনি বর্তমানে দুনিয়ার ৩৩-তম ধনী ব্যক্তি । তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ২১.৬ বিলিয়ন ডলার ।

মিস্টার জ্যাক মা পৃথিবীর অন্যতম বড়ো অনলাইন কোম্পানি আলিবাবা ডটকমের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান । তাঁর জন্ম চীনের জিজিয়াং প্রদেশে । চাকরির পরীক্ষায় ৩০ বার ফেল করা জ্যাক মা-র প্রতিষ্ঠান আলিবাবা ডটকম চীনে নতুন করে ১৪ মিলিয়ন চাকরি তৈরি করেছে । ইতিহাসের কি আশ্চর্য পরিহাস ! আলিবাবা প্রতিষ্ঠা করার সময় সবাই , এমনকি টাইম ম্যাগাজিন পর্যন্ত জ্যাক মা-কে পাগল বলেছিল । কিন্তু মানুষের প্রবল ইচ্ছাশক্তির গতি রোধ করবে কে ? মানুষের দুর্মর আশাবাদ সভ্যতার প্রধান চালিকাশক্তি। জ্যাক মা বলেন , ‘ পাগল হওয়াই বোধহয় ভালো । আমরা পাগল , কিন্তু নির্বোধ নই । ‘

চীনের হাংঝু-তে এক দরিদ্র পরিবারে তাঁর জন্ম । শৈশবে তিনি প্রায়ই তাঁর সহপাঠীদের সঙ্গে ঝগড়া করতেন । অনেক কিছুরই অভাব ছিল তাঁর । কিন্তু কখনও হতোদ্যম হতেন না । জ্যাক মা-র অভিধানে অসম্ভব শব্দটা ছিল না । তিনি বলেন , প্রতিপক্ষ যত বড়ো বা শক্তিশালী হোক না কেন , কখনও ভয় পেতে নেই । ট্যুরিস্ট গাইড , শিক্ষকতা ইত্যাদি কাজ তিনি করেছেন। কিন্তু তাঁর স্বপ্ন ছিল বিরাট কিছু করার । মাসে মাত্র ১২ ডলার বেতনের কাজও তিনি করেছেন হাসিমুখে এবং পরম নিষ্ঠার সঙ্গে । কম্পিউটার বা কোডিং নিয়ে জ্যাকের কোনো ধারণা ছিল না । কিন্তু ১৯৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের সময় প্রথমবার ইন্টারনেটের প্রতি আকৃষ্ট হন তিনি । তখন তিনি অনুবাদ ব্যবসা শুরু করেন এবং একটি চীনা কোম্পানির অর্থ পুনরুদ্ধারে সহায়তা করতে ওই ভ্রমণে গিয়েছিলেন । এই সময়েই তিনি চীনের জন্য ইন্টারনেট ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গড়ার সিদ্ধান্ত নেন । প্রথমদিকে অর্থের অভাবে খুব একটা এগোতে পারছিলেন না । কিন্তু তারপর তাঁর ১৭ জন বন্ধুকে তাঁর প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করতে রাজি করান জ্যাক । তাঁর সাইট-এ রপ্তানিকারকরা তাঁদের পণ্য পোস্ট করতে পারতেন , আর গ্রাহকরা সেখান থেকে সরাসরি কিনতে পারতেন । এর ফলেই তাঁর এই সাইট দ্রুত ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে । আর তারপর তো ইতিহাস । এককালের চূড়ান্ত ব্যর্থ জ্যাক মা বর্তমানে বিশ্ববন্দিত ।

আরও পড়ুন – ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৬ লক্ষ পলিসি বিক্রি, গিনেস বুকে এলআইসি

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

Related articles

ফের জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী, ২৬ অগাস্টে বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠক 

চলতি সপ্তাহ থেকেই ফের শুরু হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা সফর। আগামী মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট তিনি পৌঁছাবেন বর্ধমান।...

ঠাকুরবাড়ির স্বার্থের রাজনীতি ফাঁস: শান্তনুকে কাঠগড়ায় তুললেন মা-দাদা

বিজেপির মধ্যে ঝগড়া ও স্বার্থের লড়াই শুরু হয়েছে বনগাঁর ঠাকুরনগরে। মতুয়া (Matua) সমাজের প্রভূত উন্নয়ন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা...

মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার অধিকার কার: চরম দ্বন্দ্ব শান্তনু-সুব্রতর

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে এবার গোটা ঠাকুর পরিবার। মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের ঘটা করে যে নাগরিকত্ব দেওয়ার খেলায়...

থিম ভাষা-সন্ত্রাস ও বাংলা-বিদ্বেষ! জোর প্রস্তুতি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের 

২৮ অগাস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসকে ঘিরে চলছে জোরকদমে প্রস্তুতি। আবারও ছাত্র-ছাত্রীদের ঢল নামতে চলেছে কলকাতায়। পাহাড়...
Exit mobile version