বালি সমবায় ব্যাঙ্কের(Bali Cooperative) পরিচালন সমিতির ক্ষমতা দখল করল তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। সোমবার মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার ফর্ম তোলার শেষ দিন ছিল। কিন্তু বিরোধী দলগুলি প্রার্থীই পায়নি। ফলে কেউই মনোনয়ন জমা দেননি। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল প্রার্থীরা।
এই সমবায় ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতির ৬২টি আসনের জন্য ৮৭টি ফর্ম তোলা হয়েছে। এর মধ্যে কেউই বিরোধী দলের নেই। মঙ্গল ও বুধবার অর্থাৎ ২৭ ও ২৮ মে মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন ধার্য হয়েছে। ৩০ মে মনোনয়ন স্ক্রটিনি করা হবে। পরেরদিন ৩১ মে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। তারপরই চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় বা স্ক্রুটিনিতে কারও নাম বাদ গেলে যাতে সমস্যা না হয় তাই জন্যেই অতিরিক্ত কয়েকজন মনোনয়ন জমা দেওয়ার ফর্ম তুলেছেন। তৃণমূলের(TMC) ৬২ জন প্রার্থীই মনোনয়ন জমা দেবেন। এদিকে বিরোধীরা কোনও ফর্ম না তোলায় তৃণমূলের প্রার্থীরা কার্যত ৬২-০তে জিততে চলেছেন এই খবর এলাকায় চাউর হতেই বালি সমরায় ব্যাঙ্ক চত্বরে জড়ো হয়ে আনন্দে মেতে ওঠেন তৃণমূলের কর্মীরা। সবুজ আবির নিয়ে পরস্পরকে মিষ্টিমুখ করাতে থাকেন তৃণমূল কর্মীরা। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আনন্দে সামিল হন হাওড়া সদর যুব তৃণমূলের সভাপতি কৈলাশ মিশ্র, হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলির সদস্য রিয়াজ আহমেদ, প্রাক্তন কাউন্সিলর তফজিল আহমেদ, বালি কেন্দ্র তৃণমূলের সভাপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়(Avijit Ganguly), জেলা তৃণমূল নেতা ভাস্করগোপাল চট্টোপাধ্যায় সহ দলের আরও অনেকে।
তৃণমূল যুবনেতা কৈলাশ মিশ্র বলেন, “৭ বছর পর এই সমবায় ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতি তৃণমূল দখল করল। বিরোধীরা কোনও মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য ফর্ম তোলেনি। আমরা ৬২টি আসনের সবকটিতেই জয়ী হয়েছি। এর জন্য বালির মানুষের তরফে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তাঁদের নেতৃত্বেই আমরা এখানে জিততে পারলাম। বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য একজন প্রার্থীকেও খুঁজে পাননি।“
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–