ফের মক ড্রিলের নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে গুজরাট, পাঞ্জাব, রাজস্থান এবং জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে শুরু হবে এই মহড়া।

সাম্প্রতিক সময়ে পেহেলগামে জঙ্গি হামলার পর ‘অপারেশন সিন্দুর’ চালিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে ভারত। এরপর থেকেই সীমান্তে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই পরিস্থিতিতে আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিকে মক ড্রিলের আওতায় আনা হল।

এর আগে ৭ মে, দেশের ২৭টি রাজ্য এবং ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ২৫৯টি এলাকায় এই ধরনের মহড়া হয়েছিল। সেসময় মূলত সাধারণ মানুষকে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কীভাবে আত্মরক্ষা করতে হয়, তার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। বিমান হামলার সময় কী করণীয়, ব্ল্যাকআউটের সময় নিরাপত্তা বজায় রাখার কৌশল, ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সময় বাঁচার উপায়, এবং শিশু, বৃদ্ধ ও বিশেষভাবে সক্ষম নাগরিকদের উদ্ধারের কৌশল শেখানো হয়েছিল।

বিশেষ করে স্কুল, কলেজ এবং জনবহুল এলাকাগুলিতে এই প্রশিক্ষণের উপর জোর দেওয়া হয়। যদিও এবারের মহড়ার সুনির্দিষ্ট কারণ এখনও সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়নি, তবুও ধারণা করা হচ্ছে, ভবিষ্যতের যেকোনো সংকট মোকাবিলায় নাগরিকদের প্রস্তুত রাখতেই এই পদক্ষেপ। সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ এই মহড়াকে প্রয়োজনীয় বললেও, অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেই মহড়া পরিচালিত হবে।


আরও পড়ুন – নিরাপত্তার স্বার্থে পাশে থাকলেও কুৎসা করলে কড়া জবাব: মোদিকে পাল্টা তোপ কুণালের

_
_

_
_

_

_

_

_

_

_
