শীতলাপুজোর অনুষ্ঠানে গিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার সন্ধেয় ভবানীপুর কাঁসারি পাড়ায় গুরুদ্বার-লাগোয়া দীর্ঘদিনের পুরোনো শীতলা মন্দিরে যান মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, আমাদের বাংলার সবথেকে বড় গুণ সর্বধর্ম সমন্বয়। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ”ধর্ম মানে মানবিকতা, ধর্ম মানে আন্তরিকতা, ধর্ম মানে বিবেক, ধর্ম মানে সংস্কৃতি।”
নিজের এলাকার এই পুজোয় গিয়ে পুরনো দিনের কথা মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ”এখানে আমি একটা English Medium স্কুল করে দিয়েছি। সেখানে আমি ছোটবেলায় পড়াতাম। এখানে প্রত্যেকটা অলিগলি আমার পরিচিত। এই রাস্তার মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রয়েছে। এখানে গুরুদ্বার, মন্দির, মসজিদ- সব রয়েছে। এখানে পিজির মতো বড় হাসপাতাল আছে।”
এর পরেই বাংলার সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ”প্রত্যেক পাড়াতেই শীতলাপুজো হয়। আমাদের বাংলার সবথেকে বড় গুণ সর্বধর্ম সমন্বয়। সব জায়গার একটা লোকাল ভাষার টান আছে। আমি বীরভূমে যেখানে জন্মগ্রহণ করেছিলাম সেখানকার ভাষা আর বাঁকুড়ার ভাষার টান অনেকটা একরকম। মেলা থেকে শুরু করে খেলা- সবই আমাদের পার্বণ উৎসবের মধ্যে পড়ে। এখানে মহিলারা দুর্গাপুজো করে, আমি আসি। এখানে আড়াই হাজার লোক দণ্ডী কাটে। আমাকে মন্দিরটি খুব আকর্ষণ করে, আমি মাঝেসাজে সুযোগ পেলেই এখানে চলে আসি। বছরে ৪-৫ বার এখানে আসি। মন্দির নিয়ে একটা দুটো আক্ষেপ ছিল সেগুলো হয়ে গেছে তাতে ওরা খুশি। পাশে একটা ক্লাবও করে দেওয়া হয়েছে।”
ধর্ম সম্পর্কে মমতা (Mamata Banerjee) বলেন, ”ধর্ম মানে মানবিকতা, ধর্ম মানে আন্তরিকতা, ধর্ম মানে বিবেক, ধর্ম মানে সংস্কৃতি।” তাঁর কথায়, মানুষের জীবনে কখনো কখনো ভালো খারাপ সময় আসে। সবকিছুকে মানিয়ে চলতে হয়। জীবন কখনো থেমে থাকে না। তাঁর ভাষণে উঠে এসেছে রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের কথা। রামকৃষ্ণের কথা এখনও মেনে চলেন সকলেই। এর থেকে শিক্ষনীয় অনেক বিষয় রয়েছে। মা সকলকে ভালো রাখুন। নতুন করে কোনও ব্যধি কারও জীবন যেন কেড়ে না নেয়। দাঙ্গা সন্ত্রাস সবকিছু থেকে মানুষকে রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, শান্তির বার্তা বহন করে মা শীতলা।
আরও খবর: নিরাপত্তার স্বার্থে পাশে থাকলেও কুৎসা করলে কড়া জবাব: মোদিকে পাল্টা তোপ কুণালের
–
–
–
–
–
–
–
–
–