সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, ৩১ মে’র মধ্যে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে রাজ্য। প্রাথমিকভাবে শুধুমাত্র শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে, পরে গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি নিয়োগের কথা ভাবা হবে।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, এবার শিক্ষক নিয়োগ হবে মোট ৪৪,২০৩টি শূন্যপদের জন্য। এর মধ্যে নবম-দশম শ্রেণির জন্য ২৩,২১২টি এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জন্য ১২,৫১৪টি পদ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়ার দায়িত্বে থাকবে স্কুল সার্ভিস কমিশন, তবে এর উপর কড়া নজরদারি চালাবে নবান্ন। শিক্ষা দফতরকে সময় অন্তর রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তবে শুধুই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ নয়, গোটা বিষয়টি নিয়ে চলছে আইনি পর্যালোচনা। রাজ্য প্রশাসনের আইন সেল একাধিকবার নিয়োগের খসড়া খতিয়ে দেখছে। উদ্দেশ্য একটাই—বিজ্ঞপ্তি জারির পর আর যেন নতুন করে আইনি জট তৈরি না হয়।

চাকরিচ্যুত প্রার্থীরা শুরু থেকেই পরীক্ষার বিরোধিতা করে এসেছেন। তাঁদের দাবি, যোগ্যদের পুনর্বহাল করতে নতুন পরীক্ষা নয়, বরং রাজ্যের উচিত নিজস্ব প্রক্রিয়ায় সিদ্ধান্ত নেওয়া। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ থাকায় সরকার বাধ্য হচ্ছে পরীক্ষা নিতে, তবে বিকল্প পথ খোলা রয়েছে। যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, যাঁদের টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে কিংবা যাঁদের পরীক্ষায় বসার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে, তাঁদের জন্য আলাদা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।


নতুন করে যাতে আর আইনি সমস্যা না তৈরি হয়, সেই লক্ষ্যেই রাজ্য এখন ধাপে ধাপে এগোচ্ছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রেখে দ্রুত শূন্যপদ পূরণ করতে বদ্ধপরিকর বলেই জানানো হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

আরও পড়ুন – দালালের খপ্পরে তেহরানে বন্দি ৩! খোঁজ শুরু ভারতীয় দূতাবাসের
_

_
_

_

_

_

_

_

_
