Thursday, August 28, 2025

বাংলার বকেয়া কেন আটকে রেখেছেন? কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ফের সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী

Date:

১০০ দিনের কাজের প্রাপ্য বকেয়া দেয়নি কেন্দ্র। বন্ধ আবাসের টাকাও। রাজ্যের প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণ করে চলেছে কেন্দ্রের সরকার। বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে রাজ্যের বকেয়া নিয়ে ফের একবার সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন, কেন বাংলার বকেয়া আটকে রেখেছেন। অবিলম্বে বাংলার বকেয়া দিন।

এদিন কেন্দ্রকে একহাত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ১০০ দিনের কাজ এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার জন্য যে টাকা রাজ্যকে দেওয়া উচিত, তা থেকে লাগাতার বঞ্চনা করে চলেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের থেকে বাংলা ১ লক্ষ ৭৫ হাজার কোটি টাকা পায়। চার বছর ধরে রাস্তা উন্নয়নের টাকা দেয়নি কেন্দ্র। আর বাংলায় এসে মিথ্যাচার করছেন প্রধানমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে মোদির মিথ্যাচার ফাঁস করে, পরিসংখ্যান দিয়ে তৃণমূল জানায়, বাংলার গ্রামীণ সড়ক নির্মাণের জন্য বরাদ্দকৃত ২,৮৪১ কোটি টাকা আটকে রেখেছেন আপনারা। ২০২৩ সালে ‘পথশ্রী’ প্রকল্প শুরু করেছে রাজ্য। ৩৮,৬৬৪ কিমি গ্রামীণ সড়ক নির্মিত হয়েছে। ৫ কোটি কর্মদিবসের মাধ্যমে কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে।

এদিন চাঁছাছোলা ভাষায় জবাব দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ১০০ দিনের টাকা দেননি, আবাসের টাকা দেননি, কোন মুখে কথা বলে। এদিকে আমাদের এখান থেকে জিএসটির টাকা তুলে নিয়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, বাংলার বাড়ি আপনার নামে ছিল। কিন্তু জমি আমরা দিয়েছি। গরিব মানুষগুলোর কী দোষ ছিল? সেই টাকা কেন বন্ধ করেছেন? কেন্দ্র ৬০ শতাংশ টাকা দেয়, রাজ্য ৪০ শতাংশ দেয়। তাহলে সব প্রকল্পে আপনাদেরই নাম যাবে কেন? সব থেকে বেশি দুর্নীতি আপনাদের সরকারই করে।

এরপর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আয়ুষ্মান করেছেন। আপনি আয়ুষ্মান হোন, ঈশ্বর আপনাকে ১৭৫ বছর বাঁচিয়ে রাখুন। আমরা আপনার আয়ুষ্মানের ভিক্ষে নেব না। আমাদের স্বাস্থ্য সাথী আছে। আমাদের ট্রিটমেন্ট বেস্ট ইন ইন্ডিয়া। আপনাদের উদ্দেশ্য খালি বাংলার এডুকেশন ভেঙে দাও, স্বাস্থ্য ভেঙে দাও, পরিকাঠামো ভেঙে দাও। কিন্তু আমরা তা হতে দেব না।

আরও পড়ুন – শক্তি বাড়িয়ে স্থলভাগে ঢুকল নিম্নচাপ, দুর্যোগ মোকাবিলায় বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

Related articles

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...

সুখবর! পুজোর আগে পার্ট টাইম কর্মীদের বেতন বাড়াল রাজ্য 

পুজোর আগে রাজ্যের আংশিক সময়ের কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল নবান্ন। বিভিন্ন দফতর ও সরকার অধীনস্থ সংস্থায় কর্মরত...
Exit mobile version