পূর্বাভাস সত্যি করে শক্তি বাড়িয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করল নিম্নচাপ। পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মধ্যবর্তী অংশে রায়দিঘির কাছ দিয়েই বৃহস্পতিবার বেলায় স্থলভাগে প্রবেশ করেছে নিম্নচাপ। ইতিমধ্যেই তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়েছে জেলায় জেলায়। উপকূলে জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। দুর্যোগের আশঙ্কায়, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব রকম প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার নবান্নে (Nabanna) এই নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব দফতরের সঙ্গে সমন্বয় বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলা থেকে ব্লক স্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি কথা বলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।

মৌসম ভবন (IMD) জানিয়েছে উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অঞ্চলে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাবে বৃহস্পতিবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদে। এ ছাড়া কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরেও বৃষ্টি বাড়বে। সেই সঙ্গে দক্ষিণের প্রায় সব জেলাতেই ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। দুর্যোগ মোকাবিলায় সতর্ক রয়েছে রাজ্য প্রশাসন। এদিন নবান্ন থেকেই মুখ্যমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সব দফতরের সঙ্গে সমন্বয় বৈঠক করেন। জেলাগুলিতে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে নিচু এলাকা থেকে মানুষকে ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে আনতেও বলা হয়েছে। ব্লক থেকে নবান্ন পর্যন্ত সক্রিয় করা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের হেল্প লাইন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দুদিন মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। পর্যটকদেরও সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে।বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা দফতর-সহ সমুদ্র উপকূলবর্তী জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে মমতা জানিয়েছেন।

–

–


–

–
–

–
–

–

–

–

–

–

–

–

–