দেশ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করছে। তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)-সহ সমস্ত বিরোধী দল দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কেন্দ্রের পাশে দাঁড়িয়েছে। উল্টো দিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(PM Narendra Modi) অপারেশন সিঁদুর(Operation Sindur) নিয়ে রাজনীতি করতে আসরে নেমেছেন। দেশের উদ্ভূত সংকট নিয়ে তাঁর মাথাব্যথা নেই, বাংলায় এসে কুৎসার রাজনীতি করে গেলেন। এই পরিস্থিতিতে মোদিজির ১১ বছরের শাসনামলে দেশের পাঁচটি সংকটের কথা তুলে ধরল তৃণমূল। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে তৃণমূল(TMC) জানিয়েছে, মোদিজির আমলে দেশে ৫টি ‘সংকট’ আমদানি হয়েছে। তথ্য নিয়ে সেই সংকট পর্যালোচনা করেছে তৃণমূল।

প্রথম সংকট আইনশৃঙ্খলা। মণিপুর দু’বছর ধরে জ্বলছে। এই দু’বছরে সেখানে পা রাখেননি প্রধানমন্ত্রী(Prime Minister)। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের হিংসাত্মক পরিস্থিতিরও কোনওরকম উন্নতি হয়নি।

দুই নারী-নিরাপত্তা। দেশে মহিলাদের নিরাপত্তা কোথায়?উন্নাও থেকে হাথরস, হালে মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে ও মানবিক ও নির্মম ঘটনা ঘটে গিয়েছে। দুটি ক্ষেত্রেই বিজেপি শাসিত রাজ্য। বিজেপির ট্র্যাক রেকর্ড আদৌ ভালো নয়। একটার পর একটা লজ্জা উপহার দিয়ে চলেছে। নীরব থেকেছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিন, যুবসমাজের হতাশা। বছরে দুকোটি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকারে এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা তো হয়ইনি, উল্টে কর্মসংস্থান হারিয়েছে যুব সমাজ। প্রশ্নপত্র ফাঁস, নিট কেলেঙ্কারি, তারপর ৪৫ শতাংশ বেকারত্ব। এটাই ছাত্র-যুবদের জন্য বিজেপির উপহার।


চার দুর্নীতি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভার সদস্যরা দুর্নীতিগ্রস্ত। বিজেপির শাসনামলে তাঁদের অর্ধেক জামিনে বেরিয়ে গেছে। পরিহাসের মৃত্যু ধীর গতিতে হয়েছে। তারপর নির্বাচনী বন্ড থেকে শুরু করে আরও কত কিছু দুর্নীতি রয়েছে।

আর পঞ্চম সংকট হল, স্বার্থপর সরকার। প্রতিহিংসার সরকার। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির সরকারের প্রতিহিংসার রাজনীতির কারণে বাংলা ১০০ দিনের কাজ এবং আবাস যোজনার তহবিল থেকে বঞ্চিত। কেন্দ্রের বঞ্চনা রাজ্যের আরও নানা প্রকল্প।
এই অবস্থায় উল্লেখিত পাঁচ সংকট থেকে দেশকে রক্ষার নাম নেই। প্রধানমন্ত্রী বেরিয়েছেন কুৎসার সফরে।

–
–

–

–

–

–

–

–
