বাংলার মুকুটে নয়া পালক। বিরোধীদের অপপ্রচার, বাম -অতিবাম সিনিয়র, জুনিয়র ডাক্তারদের কুৎসাকে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে পশ্চিমবঙ্গের নাম উজ্জ্বল করল রাজ্যের চার মেডিক্যাল কলেজ। রাজ্যের গৌরবময়, উন্নত স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে স্বীকৃতি দিল কেন্দ্র। ভারতের সেরা মেডিক্যাল কলেজের তালিকায় জায়গা করে নিল বাংলার চার হাসপাতাল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) অদম্য ইচ্ছেশক্তি, দূরদর্শিতা আর নেতৃত্বে বাংলার স্বাস্থ্যব্যবস্থার যে অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে এবার তা মেনে দিল গোটা দেশ। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউশনাল র্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক (IIRF) ২০২৫ অনুসারে, পশ্চিমবঙ্গের ৪টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ (Govt Medical Colleges) ভারতের শীর্ষ ৫০টির মধ্যে স্থান পেয়েছে। তালিকা প্রকাশ হতেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন (WBJDA)। পাশাপাশি অভিনন্দন জানানো হয়েছে চিকিৎসা জগতের সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত থাকা প্রত্যেককে।
IIRF যে তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে নাম রয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের। সর্বভারতীয় র্যাঙ্ক নবম এবং পূর্বাঞ্চলের পরিসংখ্যানে প্রথম স্থানে রয়েছে বাংলার গর্বের এই সরকারি হাসপাতাল। এরপর রয়েছে যথাক্রমে আইপিজিএমইআর ও এসএসকেএম (সর্বভারতীয় র্যাঙ্ক: ২৯, পূর্বাঞ্চল র্যাঙ্ক: ৪), কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ (সর্বভারতীয় র্যাঙ্ক: ৩৬, পূর্বাঞ্চলীয় র্যাঙ্ক: ৬) এবং আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল – যার সর্বভারতীয় র্যাঙ্ক ৩৮ এবং দেশের পূর্ব অঞ্চলের নিরিখে সপ্তম স্থানে রয়েছে। এছাড়া উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ (সর্বভারতীয় র্যাঙ্ক ১০৩) এবং কেপিসি হাসপাতালের (সর্বভারতীয় র্যাঙ্ক ১১১) নামও রয়েছে। WBJDA-এর বিষয়টি পোস্ট করে পোস্ট করে বলা হয়েছে, এই ঘটনা বাংলার দক্ষ জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতির উল্লেখযোগ্য প্রমাণ। এটা গর্বের বিষয় যে এত সমালোচনার মুখেও, পশ্চিমবঙ্গ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে, ভারত জুড়ে অন্যতম নির্ভরযোগ্য এবং সহজলভ্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে চলেছে। এই সাফল্যের অন্যতম কান্ডারী স্বয়ং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), তাই জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা প্রশাসনিক প্রধানকে।
এদিন WBJDA- এর তরফে আরও একটি পোস্ট করা হয়েছে। যেখানে তারা লিখেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন বাংলার স্বাস্থ্য শিক্ষা তথা তথা সার্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা স্বীকৃতি পেতেই মুখ্যমন্ত্রীর পোস্টার বিকৃত করে বাংলাকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা একদল সমাজবিমুখ , কৃষ্টিহীন বামপন্থী জুনিয়র ডাক্তারদের। বাংলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রশংসা যখন গোটা দেশ জুড়ে তখন বাম – অতি বামপন্থী জুনিয়র ডাক্তাররা রাজনীতি করতে আসলে নেমে পড়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর পোস্টার যেভাবে বিকৃত করা হয়েছে তার নিন্দা করে ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে প্রগ্রেসিভ হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট তথা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির অন্যতম মেম্বার রাজ্যের মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা (Dr Sashi Panja) কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। তাঁকে একটি ডেপুটেশন জমা দিয়েছে WBJDA সদস্যরা। এই ধরনের কাজ যারা করেছেন তাদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার আবেদনও জানানো হয়েছে।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
