বর্ষা আসার আগে রাজ্য সরকারের আশঙ্কা ও অভিযোগের সুর মেনে নিল দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন (ডিভিসি) (DVC)। জলাধারে পলি জমে (siltation) জল ধারণ ক্ষমতা কমে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর তোলা অভিযোগ এদিন কার্যত স্বীকার করে নিলেন ডিভিসির (DVC) চেয়ারম্যান সুদেশ কুমার। একইসঙ্গে আশ্বাস দিয়েছেন, রাজ্যের অনুরোধ মেনে এবার একসঙ্গে ৫০ হাজার কিউসেকের বেশি জল ছাড়ার চেষ্টা করা হবে না।

শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে ডিভিসি চেয়ারম্যান জানান, ২৬ এপ্রিল মুখ্যসচিব এবং ২৯ মে সেচমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠকে রাজ্য জলছাড়ার বিষয়ে স্পষ্ট অনুরোধ জানিয়েছে। সেই অনুরোধ মেনেই এবার থেকে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে বাঁধগুলি (barrages) থেকে জল ছাড়া হবে।

তবে তিনি এ-ও জানান, বর্ষার শেষ দিকে অতিবৃষ্টি হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়। গত বছর শেষ পর্যায়ে ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand) গভীর নিম্নচাপের জেরে ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছিল। তখন প্রায় ২ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল ডিভিসি, যা নিয়ে রাজ্য-ডিভিসির মধ্যে তীব্র চাপানউতোর তৈরি হয়। সেই অভিজ্ঞতা এ বছর মাথায় রেখেই আগাম সতর্ক বার্তা দিয়েছে ডিভিসি।

সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এদিন মুখ্যমন্ত্রীর তোলা অভিযোগ মেনে নিয়ে সুদেশ কুমার বলেন, “একেবারে ভুল বলেন না মুখ্যমন্ত্রী। পলি তোলার (desiltation) সমস্যা রয়েছে। বিশেষ করে ঝাড়খণ্ড প্রশাসনের সঙ্গে এই বিষয়ে কিছু জটিলতা রয়েছে।” তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, এই পলি (siltation) তোলা সম্ভব না হওয়াতেই ডিভিসির (DVC) নিয়ন্ত্রণাধীন চারটি বাঁধের (barrages) জল ধারণ ক্ষমতা ৩৪ থেকে ৩৬ শতাংশ পর্যন্ত কমে গিয়েছে।


তিনি আরও জানিয়েছেন, বর্ষা কেটে যাওয়ার পর নতুন করে পলি উত্তোলনের (desiltation) কাজে জোর দেওয়া হবে। তবে সে কাজে ঝাড়খণ্ডের প্রশাসনিক সহযোগিতা কতটা পাওয়া যাবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

–
–

–
–

–

–

–

–

–
