Wednesday, November 12, 2025

মজুরি-পিএফ বন্ধের জেরে ধর্নায় চা-শ্রমিকেরা প্রধানমন্ত্রীর ভাষণেও মিলল না সমাধান, কটাক্ষ উত্তরের নেতাদের 

Date:

ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি, ভাষণ। বললেন অনেক কিছুই। কিন্তু মেটাতে পারলেন না চা-শ্রমিকদের সমস্যা। প্রধানমন্ত্রী যখন আলিপুরদুয়ারে সভা করছেন ঠিক তখনই কেন্দ্রের অধিনস্ত চা-বাগানে মজুরি না পেয়ে ধর্নায় বসেছেন শ্রমিকেরা। একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দিয়েও শ্রমিক সমস্যা মেটাতে ব্যর্থ প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় অধীনস্ত আন্ড্রু ইউল চা বাগানের শ্রমিকেরা তাদের বকেয়া মজুরি, পিএফ, গ্রাচুইটির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান চা বাগানের গেটের সামনে বসে। বানারহাট ব্লকের অধীনস্থ চুনাভাটি, বানারহাট, নিউ ডুয়ার্স ও কারবালা চারটি চা বাগানারই একই পরিস্থিতি। ১০ বছর পর আলিপুরদুয়ার এলেও জেলার মানুষের মুখে একটুও হাসি ফোটাতে পারলেন না মোদি।

গত লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির আলিপুরদুয়ারের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বারলা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, আলিপুরদুয়ার জংশনে রেলের জমিতে একটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরী করবে কেন্দ্রীয় সরকার। এবং হাসিমারা বায়ু সেনা ঘাঁটিতে যাত্রী টার্মিনাল তৈরী করে আসামরিক বিমান চলাচল শুরু করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বৃহস্পতিবারের জনসভায় ওই দুই প্রকল্প নিয়ে একটিও শব্দ উচ্চারণ করলেন না মোদি। এর পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় শিল্প, চা শিল্পের উন্নয়নে কিছুই বললেন না তিনি। যদিও প্রধানমন্ত্রীর সভায় চা-শ্রমিকদের ভিড় ছিল না বললেই চলে। উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় সমস্যা  ভুটান থেকে প্রবাহিত হয়ে আসা নদী গুলো। যেগুলোর কারণে প্রতি বছর বন্যার সম্মুখীন হয় উত্তরের জেলাগুলো। সেই ভারত ভুটান নদী কমিশন নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেনি মোদী তার ভাষণে।

প্রধানমন্ত্রী ডুয়ার্সবাসীকে হতাশ করলেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাজনৈতিক ভাষণ দিলেন। এভাবেই প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। তিনি বলেন, মানুষ আশায় ছিলেন রেলের জমিতে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ঘোষণা মোদি করবেন, সেখানে তাঁর মুখ দিয়ে উন্নয়নের কোনও শব্দই বের হল না। চা-শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত  ১০০০ কোটির ফান্ড নিয়ে রা কাড়েননি মোদি। আর কিছুদিন পরেই ভুটানের নদীর জলে ভাসবে সমগ্র ডুয়ার্স। উত্তরবঙ্গের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ভারত-ভুটান নদী কমিশন গঠনের কথা উনি আজ বলতে পারতেন, কিন্তু সেটি নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য তিনি আজকের সভায় করলেন না।

সাংসদ প্রকাশচিক বরাইক বলেন, আলিপুরদুয়ারে কেন্দ্রীয় সরকার আজ পর্যন্ত কোনও কাজ করেনি। এখানকার চা-বাগানের শ্রমিকরা বঞ্চিত। তাঁদেরকে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বারবার বঞ্চনা করেছে ঠগবাজ বিজেপি। নিজেরা উন্নয়ন করে না, রাজ্য সরকারের কাজে বাধা দেয়। প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের কথা বলার কোনও অধিকারই নেই। যিনি আলিপুরদুয়ারের কথা কোনওদিনও চিন্তাও করেননি। প্রধানমন্ত্রীকে একটা প্রশ্ন, তিনি আলিপুরদুয়ারে এসেও কেন মেটাতে পারলেন না চা-শ্রমিকদের পিএফ আর বকেয়া বেতনের সমস্যা?

আরও পড়ুন – সূয়শ-হেজেলউডের দাপটে ফাইনালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

Related articles

আবারও আন্তর্জাতিক মঞ্চে সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি, চিনে ‘ব্রিকস স্কিলস কম্পিটিশন’-এ ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবে ছাত্রছাত্রীরা

ফের ইতিহাস গড়ল সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি (এসএনইউ)। গত বছরের পর আবারও এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নির্বাচিত হয়েছে চিনে অনুষ্ঠিত...

বিজেপিকে সুবিধা করে দিতেই BLA নিয়োগে নয়া নির্দেশিকা ! কমিশনকে তোপ তৃণমূলের

জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নতুন নির্দেশিকা ঘিরে উত্তাল রাজনৈতিক মহল। বুথ লেভেল এজেন্ট (BLA) নিয়োগের নিয়ম পরিবর্তন করে এক...

বোধি ভবনের বার্ষিক উৎসব, সংবর্ধিত অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায়

দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম সেরা CBSE বিদ্যালয় বোধি ভবন কলেজিয়েট স্কুলে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হল বার্ষিক অনুষ্ঠান। এই উপলক্ষে উত্তম...

সঙ্গীত পরিচালকের ভূমিকায় সৃজিত?

১৫ বছর টলিউডে রাজত্ব করেছেন। ঝুলিতে রয়েছে দুর্দান্ত সব ছবি। কিন্তু এবার সঙ্গীত পরিচালকের ভূমিকায় কাজ করতে চলেছেন...
Exit mobile version