অনুমতি ছাড়া শিয়ালদহ (Sealdah) চত্বরে মিছিলের জন্য জমায়েত কেন, চাকরিহারাদের একাংশকে স্টেশন চত্বর থেকে সরিয়ে দিল পুলিশ। নবান্ন (Nabanna) অভিযানের ডাক দিয়ে অর্ধনগ্ন অবস্থায় মিছিল করার কথা জানিয়েছিল চাকরিহারা সংগঠনের একাংশ। কিন্তু পুলিশের (Kolkata Police)তরফে কোন রকমের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তা সত্ত্বেও শুক্রবার সকালে যখন শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে জমায়ের শুরু হয় তখন সেখানে পুলিশের বিশাল বাহিনী পৌঁছে তাদেরকে সেখান থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করে। কিন্তু আন্দোলনকারীরা সে কথা মানতে না চাইলে পুলিশ বাধ্য হয়েই বেশ কয়েকজনকে আটক করে। শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরের পাশাপাশি মেট্রোতেও কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরপর ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ডে বিক্ষিপ্তভাবে জমায়েতের চেষ্টা শুরু হতেই সেখানেও পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশের বিশাল বাহিনী।
সুপ্রিম কোর্টের (SC) ডেডলাইন মেনে শুক্রবার সকালের মধ্যেই শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে রাজ্য। নয়া নিয়োগ বিধিতে কমিশনের তরফে চাকরি হারাদের জন্য অনেকটাই সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও কখনও বিকাশ ভবন ঘেরাও কখনও নবান্ন অভিযানের নাম দিয়ে অসভ্যতা করার চেষ্টা চাকরিহারাদের একাংশের। বৃহস্পতিবার তাঁরা অর্ধনগ্ন মিছিলের কথা ঘোষণা করেন। এরপরই প্রশ্ন উঠেছিল এ কেমন শিক্ষক যাঁরা এভাবে অভব্য আচরণকে আন্দোলনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চায়? সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করার ক্ষমতা কারোর নেই। রাজ্য যখন সব ধরনের সদর্থক পদক্ষেপ করে চাকরিহারাদের পাশে থাকার চেষ্টা করছে তখন বারবার কিছু উস্কানি বা প্ররোচনার মধ্যে দিয়ে আন্দোলনের নামে যে নাটক চলছে তাতে আখেরে ক্ষতি হচ্ছে শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীদেরই। এদিন সকালে বিনা অনুমতিতে শিয়ালদহ চত্বরে আন্দোলনকারীরা জমায়েত থেকে শুরু করলে পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়। ধর্মতলা বাস স্ট্যান্ড চত্বরে সকলের আইডি কার্ড দেখে বুঝে নেওয়া হচ্ছে তাঁরা নবান্ন অভিযানের সঙ্গে যুক্ত নাকি সাধারণ যাত্রী। কোনও বলপ্রয়োগ না করে অত্যন্ত ধৈর্যশীলতার সঙ্গে পরিস্থিতি সামলাচ্ছে পুলিশ। লালবাজারে তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ঠিক রাখতে শহরের কোন কোন জায়গায় এই ধরনের জমায়েত হচ্ছে সেদিকে নজর রাখছে কলকাতা পুলিশ।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–