পহেলগামে পাক হামলা, ভারতের অপারেশন সিন্দুর, পরবর্তীতে ক্রমাগত পাকিস্তানের ড্রোন হামলা। এই গোটা সময়ে কত তথ্য ভারতের মোদি সরকার গোপণ করেছে, তার হিসাব এখনও মেলানো শুরুই হয়নি। তার আগেই একটি বড় প্রশ্নের উত্তর দিলেন খোদ ভারতীয় সেনাবাহিনীর সিডিএস অনিল চৌহান (CDS Anil Chauhan)। যথাযথ উত্তর না দিলেও ভারতের যুদ্ধবিমান (fighter jet) যে ভেঙেছিল, তা স্বীকার করে নিলেন সিডিএস চৌহান। এতদিন পর্যন্ত পাকিস্তানের এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে মৌনতা অবলম্বন করেছিল মোদি প্রশাসন। এবার চাপের মুখে সেই সত্যই স্বীকার করে নিলেন সেনাপ্রধান।

অপারেশন সিন্দুর (Operation Sindoor) চালিয়ে পাকিস্তানের ৯ জায়গায় জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করার কথা যতটা জাহির করেছেন মোদি, ততটাই চেপে রেখেছেন সেই হামলায় নিজেদের যুদ্ধবিমান খোয়া যাওয়ার কথা। পাকিস্তানের তরফ থেকে ভারতীয় যুদ্ধবিমান ধ্বংস করার দাবি বারবার করা হলেও কোনও পাল্টা বক্তব্য দিতে চায়নি ভারতীয় বায়ুসেনা। এয়ার মার্শাল এ কে ভারতী সরাসরি উত্তর দেননি ভারতের কোনও রাফাল (Rafale) ধ্বংস হয়েছে কি না, সেই প্রশ্নের। শুধু জানিয়েছিলেন ভারতের বায়ুসেনার কর্মী বা আধিকারিক সকলেই নিরাপদ।

এবার সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিলেন খোদ চিফ এফ ডিফেন্স স্টাফ অনিল চৌহান। ভারতের কোনও রাফাল, মিগ বা সুখোই ধ্বংস হয়েছে কি না সেই প্রশ্নের উত্তরে চৌহান জানান, হ্যাঁ। তবে কোন ধরনের বিমান ধ্বংস হয়েছে তা প্রকাশ করেননি চৌহান। এমনকি কোনও সংখ্যাও তিনি জানাননি স্পষ্ট করে। সিঙ্গাপুরের ব্লুমবার্গ সংবাদ মাধ্যমে একটি সাক্ষাৎকারের সময় প্রশ্নের উত্তরে শুধু তিনি প্রকাশ করেন, ভারতের অন্তত একটি যুদ্ধবিমান (fighter jet) ধ্বংস হয়েছে।

শুধুমাত্র যুদ্ধবিমানের ক্ষেত্রেই নয়, পহেলগাম হামলা পরবর্তীতে একাধিক বিষয় অন্ধকারে রেখেছে মোদি সরকার। ফ্রান্সের পক্ষ থেকে রাফালের ধ্বংসাবশেষ দেখে ভারতীয় রাফাল (Rafale) ধ্বংস হওয়ার সত্য জানানো হলেও অস্বীকার করার চেষ্টা করেছে নরেন্দ্র মোদির প্রশাসন। সেখানেই ভারতীয়দের অধিকারে মোদির কোপ নিয়ে সরব বাংলার শাসকদল তৃণমূল। রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষের দাবি, কেন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম প্রথম এই তথ্য প্রকাশ্যে আনবে? কেন এই তথ্য প্রথমে ভারতীয়দের, সংসদে বা জনপ্রতিনিধিদের তুলে দেওয়া হয়নি।


–

–
–

–
–

–

–

–

–

–
