অপারেশন সিন্দুর (Operation Sindoor) নিয়ে নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) অসৌজন্যের রাজনীতির পর এবার বাংলায় এসেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। শনিবার রাতে তিনি কলকাতায় আসেন এরপর রবিবার নেতাজি ইনডোরে বিজেপির রাজনৈতিক সভায় বক্তব্য রাখবেন। তার আগে শাহকে তীব্র কটাক্ষ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। পহেলগাম হামলা (Pahelgam Attack) পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে বিজেপির ফায়দা তোলার নির্লজ্জ রাজনীতি থেকে বাংলার প্রাপ্য বকেয়া নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূল (TMC) নেতা।

রবিবার সকালে এক ভিডিও বার্তায় কুণাল বলেন, লড়াইটা যখন আতঙ্কবাদের বিরুদ্ধে, যখন দেশের কথা বহির্বিশ্বকে জানাতে সর্বদলীয় প্রতিনিধি দলে রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাজনীতির উর্ধ্বে গিয়ে দলগতভাবে কেন্দ্রকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, ঠিক তখন রাজ্যে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ‘অপারেশন সিন্দুর’ নিয়ে সংকীর্ণ রাজনীতি করেছেন। আর এখানেই তৃণমূলের কড়া আপত্তি রয়েছে। বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে কটাক্ষ করার পাশাপাশি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর ঘিরে কুণালের সাফ বক্তব্য, ‘অপারেশন সিন্দুর’ নিয়ে ফায়দা তোলার অপচেষ্টা করবেন না। এদিন ভিডিওতে যে মূলত তিনটি পয়েন্ট তুলে ধরেন তৃণমূল নেতা তার মধ্যে ছিল বাংলার বকেয়া টাকা ফেরত দেওয়ার কথাও। বছরের পর বছর রাজ্যের প্রাপ্য আটকে রেখেছে কেন্দ্র সরকার। বারবার সরব হয়েছে বাংলার শাসক দল। এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে একহাত দিলেন কুণাল। পাশাপাশি তিনি বলেন, পহেলগাম পরবর্তী সময়ে দেশের স্বার্থে রাজনৈতিক মতভেদের ঊর্ধ্বে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) যে সৌজন্য দেখিয়েছেন বিজেপিরও উচিত সেই একই কাজ করা। ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly election) আগে বিজেপি ডেইলি প্যাসেঞ্জারি শুরু হয়ে গেছে। ২০২১ বা ২০২৪ এর মতো এবারেও বঙ্গ বিজেপির উপর আস্থা না রাখতে পেরে, দিল্লির নেতাদের রাজ্যে এসে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত পদ্মদলকে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করতে হচ্ছে। কুণাল কটাক্ষ করে বলেন, ‘আপনারা ডেইলি প্যাসেঞ্জারি চালিয়ে যান কিন্তু ছাব্বিশে চতুর্থ বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন মমতাই।’ আগের বারের থেকেও আগামী নির্বাচনে তৃণমূলের আসন সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও দাবি করেছেন শাসকদলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক।

–

–


–

–
–

–
–

–

–

–

–

–

–

–

–