যে বৃষ্টির(Rain) অজুহাতে ইডেন(Eden) থেকে ম্যাচ সরেছিল, সেই বৃষ্টিতেই আহমেদাবাদে(Ahmedabad) এবার দু ঘন্টা বন্ধ ম্যাচ। প্রায় তিন সপ্তাহ আগেই আবহাওয়ার আভাস নাকি পেয়ে গিয়েছিল বিসিসিআই(BCCI)। সেই জন্য আইপিএলের গ্রুপপর্ব শেষ হওয়ার আগেই ইডেন গার্ডেন্স থেকে একটা প্লেএফের ম্যাচ এবং ফাইনাল সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল এখানে নাকি সেই সময় আবহাওয়া খারাপ থাকবে। বৃষ্টি হবে। আর সেই কারণেই ম্যাচ সরেছিল। বিসিসিআই(BCCI) কলকাতার আবহাওয়ার আভাস পেলেও, আহমেদাবাদের কী পায়নি? হ্যাঁ এখন এই প্রশ্নটাই কিন্তু ওঠাটা স্বাভাবিক।

নিয়ম মাফিক শেষবারের চ্যাম্পিয়নের ঘরের মাঠেই হয় আইপিএলের(IPL) ফাইনাল। সেই মত গতবারের চ্যাম্পিয়ন কেকেআরের ঘরের মাঠে ইডেন গার্ডেন্সেই(Eden) এবারও হওয়ার কথা ছিল ম্যাচ। মাঝে ভারত-পাকিস্তানের অশান্তির জেরে এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত হয়ে গিয়েছিল আইপিএল। এরপর পরিবর্তিত সূচী অনুযায়ী আইপিএল শুরু হয়। কিন্তু হঠাত্ই ভেন্যু বদলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত। কলকাতা থেকে ফাইনাল ও একটি প্লেঅফ সরে যায় আহমেদাবাদে।

বিসিসিআইয়ের অবশ্য একটা অজুহাতও ছিল। তারা নাকি আগে থেকেই আবহাওয়ার আভাস পেয়ে গিয়েছিলেন। জেনে গিয়েছিলেন কলকাতায় বৃষ্টি হবে। সেইজন্যই আহমেদাবদে ম্যাচ। কিন্তু সেখানেও বিপত্তি। এত ঢাকঢোল পিটিয়ে যে রাজ্যে ম্যাচ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল, সেখানেই প্রবল বৃষ্টিতে(Rain) নির্ধারিত সময়ে ম্যাচই শুরু করা গেল না। সাড়ে সাতটার ম্যাচ শুরু হল প্রায় দশটার সময়। একটা সময় তো মনে হচ্ছিল মাঠ আদৌ শুকাবে কিনা।

যদিও শেষপর্যন্ত ম্যাচ শুরু হয়। কিন্তু সেই ম্যাচে শেষ হতে হতে মাঝরাত পাড় করে দেবে। এমন পরিস্থিতিতে ইডেন থেকে ম্যাচ সরিয়ে বাংলাকে বঞ্চিত করার রাজনৈতিক অভিসন্ধির কথাই তো উঠে আসা স্বাভাবিক। কয়েকদিন আগেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এমনভাবে ম্যাচ সরানো নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। এর পিছনে যে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে, তেমনই সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। একইরকম কথা শোনা গিয়েছিল ক্রীড়ামন্ত্রীর মুখেও।


বিসিসিআইয়ের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে এখন সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে জোর গুঞ্জনও শুরু হয়ে গিয়েছে। ফাইনালেও যে এমনই একটা দৃশ্য ফের দেখা যাবে না, তা কিন্তু একেবারেই নিশ্চিত ভাবে বলা যায় না।

–
–

–
–

–

–

–

–

–

–
