অবিরাম বৃষ্টির জেরে ভূমিধস। বিপর্যস্ত উত্তর সিকিম। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করে তিস্তা। জলস্তর আরও বেড়েছে। রবিবার সকালে চুংথাং বাঁধ প্রকল্পের মান নিয়ন্ত্রণ ল্যাবরেটরি ভেসে যায়। তিস্তার জলোচ্ছ্বাসের ফলে পাথর ও কংক্রিট ধসে ফিডাং বেইলি ব্রিজ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। বিদ্যুৎ নেই বহু এলাকায়, নেই পানীয় জলও। এই পরিস্থিতিতে উত্তর সিকিমের বিভিন্ন এলাকায় আটকে রয়েছেন প্রায় দেড় হাজার পর্যটক।

এই অবস্থায় সিকিম প্রশাসনের তরফে পর্যটকদের হোটেলে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রাস্তা খুলে গেলে তাঁদের গ্যাংটকে নামিয়ে আনা হবেবলে জানানো হয়েছে। লাচেনে ১১৫ জন এবং লাচুংয়ে ১,৩৫০ জন পর্যটক আটকে পড়েছেন বলে প্রাশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। ভূমিধসের জন্য উভয় দিক থেকে বেরনোর পথ অবরুদ্ধ। নিরাপত্তার জন্য পর্যটকদের হোটেলেই থাকতে বলা হয়েছে। বৃষ্টি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে রাস্তা খোলার কাজ জোরকদমে চলবে। রাস্তা খুলে গেলে পর্যটকদের নিরাপদে নামিয়ে আনা হবে। বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় নতুন করে ধস নেমেছে। বহু জায়গায় জলের তোড়ে রাস্তা ভেসে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, বড় বড় পাথর ভেঙে পড়ে আটকে একাধিক রাস্তা। বিভিন্ন এলাকায় পরিস্থিতি আয়ত্তে আনার জন্য কাজ চালাচ্ছে সেনাবাহিনী ও বিপর্যয় মোকাবিলা দল। এদিকে, গত শুক্রবার হাজার ফুট ওপর থেকে ১১ জন পর্যটকবোঝাই গাড়ি পড়ে গিয়ে ঘটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। এখনও অনেকে নিখোঁজ। আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় উদ্ধারকাজ। বাকি পর্যটকদের তল্লাশিতে চলছিল অভিযান। তবে আবহাওয়া ফের খারাপ হওয়ায় চিন্তা বাড়ছে। সিকিমে থাকা পর্যটকদের প্রশাসনের তরফে সতর্ক করা হয়েছে।

আরও পড়ুন – কোথায় নারী নিরাপত্তা? এবার যোগীর গেরুয়ারাজ্যে গণধর্ষিতা জাতীয়স্তরের মহিলা ক্রীড়াবিদ

_

_

_

_

_

_

_

_
_
_
_
_