খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদির রাজ্যেই একশো দিনের কাজে বিজেপির দুর্নীতি ধরা পড়েছে। টাকা চুরি করে গ্রেফতার হতে হয়েছে বিজেপি নেতার ছেলেকে। কিন্তু তারপরও ১০০ দিনের কাজে গুজরাটের জন্য বরাদ্দ তহবিল বন্ধ হয়নি। কোন কেন্দ্রীয় তদন্ত হয়নি। শুধু লোক দেখানো গ্রেফতার করে জামিন দিয়ে দেওয়া হয়েছে অভিযুক্তকে। যদিও বিরোধীদের চাপে তিন দিনের মাথায় অভিযুক্ত বিজেপি নেতার ছেলেকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে গুজরাট পুলিশ। কিন্তু ১০০ দিনের বরাদ্দ নিয়ে আর কোনও কড়া পদক্ষেপই করেনি মোদির সরকার! তৃণমূল তাই ফের একবার প্রশ্ন তুলেছে, তবে কি এটাই বিজেপির গুজরাত মডেল? বাংলার বেলায় টাকা বন্ধ আর গুজরাট বিজেপি শাসিত রাজ্য বলেই ছাড়? এই দ্বিচারিতার রাজনীতি বাংলার মানুষ বোঝে মোদিজি! বঞ্চনার জবাব বিজেপিকে বাংলার মানুষ দেবে!
দুর্নীতি আর বিজেপি সমার্থক হয়ে গিয়েছে তা প্রতি পদে পদে প্রমাণিত হচ্ছে। একশো দিনের কাজের টাকা চুরি করে জেলে যেতে হয়েছে মোদি-রাজ্যের মন্ত্রীর ছেলেকে। তা নিয়ে আগেই তিনটি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিল তৃণমূল।
১) একশো দিনের টাকা এবার বন্ধ হবে তো মোদির গুজরাতে?
২) কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল কি এবার পাঠানো হবে মোদি-রাজ্যেও?
৩) নাকি ‘ডবল ইঞ্জিন’ রাজ্য আর প্রধানমন্ত্রী রাজ্য বলে সব ধামাচাপা পড়ে যাবে? একশো দিনের কাজে বাংলা এক নম্বর হওয়া সত্বেও কুৎসা আর অপপ্রচার চালিয়ে বাংলার বরাদ্দ ও শ্রমিকদের প্রাপ্য বকেয়া বন্ধ করে রেখেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। হক থাকলে এবার নিজের রাজ্যে টাকা বন্ধ করে দেখান প্রধানমন্ত্রী?
কিছুদিন আগেই গুজরাতের পঞ্চায়েতমন্ত্রী বাচ্চু খাবাদের ছেলের বিরুদ্ধে ৭১ কোটি টাকার মনরেগা কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। বিরোধীদের দাবি, এই দুর্নীতির পরিমাণ আড়াইশো কোটি টাকা। দীর্ঘ চার বছর ধরে একশো দিনের কাজে ভুয়ো প্রকল্প দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সরকারি কর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে দাহোদ জেলার ধনপুর ও দেবগড় তালুকে এই বেআইনি কাজকর্ম চলছিল। শেষপর্যন্ত প্রবল বিরোধী চাপের মুখে ৭১ কোটি টাকার দুর্নীতির মামলায় রাজ্যের কৃষি ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী বাচ্চুচু খাবাদের ছেলে বলবন্ত খাবাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মন্ত্রীর ছোট ছেলে কিরণ খাবাদ পড়াতক ছিলেন এই ঘটনার পর থেকে। গ্রেফতার করা হয় প্রাক্তন এক ডেভেলপমেন্ট অফিসারকেও। কিন্তু শুধু গ্রেফতার করেই ক্ষান্ত। মুখে কুলুপ মোদি-রাজ্যের শাসক দল বিজেপির।
এর আগে যোগী-রাজ্যেও ভুয়ো জব কার্ড বানিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে। তারপরও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এবার মোদি-রাজ্যে মন্ত্রীর দুই পুত্রের সংস্থা-সহ ৩৫টি সংস্থার বিরুদ্ধে অনিয়ম ধরা পড়ে। আদিবাসীদের কর্মসংস্থানের জন্য বরাদ্দ অর্থ জাল শংসাপত্র ও রসিদের মাধ্যমে আত্মসাৎ করে বিজেপি মন্ত্রীর ছেলে।
আরও পড়ুন – বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের, একাধিক দফতরে নিয়োগের ছাড়পত্র মন্ত্রিসভায়
_
_
_
_
_
_
_