সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো করতে বড়সড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার। বিশেষ করে নদীপথ ও জলসীমান্তে নজরদারি বাড়াতে গঠিত হতে চলেছে ‘ফ্লোটিং আউটপোস্ট’ বা ভাসমান ফাঁড়ি। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের মধ্যে সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। সেখানেই এই ভাসমান ফাঁড়ির মডিউল তৈরির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

আধিকারিকদের মতে, সীমান্তে নদী ও জলপথে গোপনে প্রবেশের সম্ভাবনা সবথেকে বেশি। সেই কারণেই ওইসব এলাকায় ভাসমান ফাঁড়ি তৈরি হলে নজরদারি অনেক বেশি মজবুত করা সম্ভব। এই উদ্যোগের ফলে চোরাচালান, অনুপ্রবেশ কিংবা সীমান্তে অপরাধমূলক কার্যকলাপ রুখতে বড় ভূমিকা নেবে বলে মনে করা হচ্ছে।

একইসঙ্গে, বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজেও গতি আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিএসএফের অনুরোধে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ২৬৮ কিমি সীমান্তে কাঁটাতারের জন্য প্রয়োজনীয় ১৪১২ একর জমি হস্তান্তরের অনুমোদন দিয়েছে। বাকি ৯৩ একর জমি অধিগ্রহণের কাজও চলছে জোরকদমে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, ২৯১ কিমি সীমান্তে কাঁটাতার বসাতে রাজ্যের কাছে ১৫০৫ একর জমির চাহিদা জানানো হয়েছিল। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার ১৩২ কিমি এলাকায় প্রয়োজনীয় ৬৮০ একর জমির জন্য আর্থিক বরাদ্দও করেছে। এখন পর্যন্ত রাজ্যের তরফে ৩২৪ একর জমি বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে ৬৫.৬০ কিমি এলাকায় কাঁটাতারের কাজ অগ্রগতি পেয়েছে।

সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্যের এই সমন্বিত প্রচেষ্টা আগামী দিনে আরও জোরদার হবে বলেই আশাবাদী সংশ্লিষ্ট মহল। নতুন মডিউলের বাস্তবায়ন হলে জলপথ ও নদীপথের সীমান্ত সুরক্ষায় ‘গেম চেঞ্জার’ হতে পারে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

আরও পড়ুন – দু’দিন আটকে থাকার পর সিকিমে শুরু উদ্ধারকার্য! ফেরানো হল ১৭০০ পর্যটককে

_

_

_

_

_
_
_
_
_