ডিজিটাল যুগে সাংবাদিকতার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেই জমে উঠল মহারাজা মণীন্দ্র চন্দ্র কলেজে আয়োজিত সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগের বিভাগীয় বিতর্ক সভা। সদ্য আয়োজিত “Synergy-2025” অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ হয়ে ওঠে এই বিতর্ক, যার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল চর্চিত মত— “ডিজিটাল সাংবাদিকতা মানেই ফেক!”

বিতর্ক সভার দুই পক্ষেই ছিলেন কলেজের বিভিন্ন বর্ষের সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা। মতের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ষষ্ঠ সেমিস্টারের বিদায়ী ছাত্র অর্কপ্রভ চক্রবর্তী, আকাশ দাশ ও সায়ন বসাক। বিপক্ষে যুক্তি সাজান দ্বিতীয় ও চতুর্থ সেমিস্টারের ছাত্রী রাজন্যা চক্রবর্তী, শিলা রাজবংশী ও বৃষ্টি সেনগুপ্ত। সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন শ্রী বুবাই চক্রবর্তী।

জমজমাট এই বিতর্ক সভায় উঠে আসে একাধিক তাৎপর্যপূর্ণ দিক— আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া প্রেক্ষাপটে ডিজিটাল সাংবাদিকতার দ্রুত বিস্তার, এর অর্থনৈতিক বিনিয়োগ সম্ভাবনা, ফেক নিউজ রুখতে সেন্সরশিপ ও আইনের প্রয়োজনীয়তা, এমনকি সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর মতো ইস্যুতে ডিজিটাল মিডিয়ার সক্রিয় ভূমিকার দিকটিও আলোচিত হয়।

অনুষ্ঠান শেষে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা ডঃ সুতপা দে বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের বিশ্লেষণধর্মী বক্তব্য সত্যিই প্রশংসনীয়। এমন বিতর্ক সভা ছাত্রদের সামগ্রিক বিকাশে অত্যন্ত জরুরি। ভবিষ্যতেও এই ধরনের আলোচনার আয়োজন আরও বেশি করে হোক।”


বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডঃ বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, “এই বছর থেকে কলেজে সাংবাদিকতা বিভাগে গঠিত হয়েছে ‘ডিবেট ক্লাব’। প্রতি তিন মাসে অন্তত একটি বিতর্ক সভা আয়োজন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলেজের সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগের পাশাপাশি অন্যান্য বিভাগের অধ্যাপক-অধ্যাপিকাবৃন্দ। শিক্ষার্থীদের তথ্যনির্ভর বিশ্লেষণ ও যুক্তিনির্ভর বক্তব্য মন জয় করে সকলের।
সত্য-মিথ্যার দোলাচলে দাঁড়িয়ে ডিজিটাল সাংবাদিকতা আজ কোথায়—এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই একঝাঁক তরুণ সাংবাদিকতায় শিক্ষার্থীর এমন সরব অংশগ্রহণ নিঃসন্দেহে সময়ের দাবি।

আরও পড়ুন – কূটনৈতিক বৈঠক থেকে নেতাজি-স্বামীজিকে শ্রদ্ধা: কুয়ালালামপুরের দিনলিপি লিখলেন অভিষেক
_

_

_

_

_

_

_
