অবশেষে বোলপুরে এসডিপিও অফিসে হাজিরা দিলেন তৃণমূল (TMC) নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandol)। বোলপুরের IC লিটন হালদারকে ফোনে কদর্য ভাষায় গালিগালাজ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে অনুব্রতর বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে FIR করা হয়। একাধিক বার নোটিশ দিয়ে তাঁকে তলব করে পুলিশ। সেই হাজিরা এড়ালেও বৃহস্পতিবার দুপুরে SDPO অফিসে ঢোকেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandol)। তাঁর কালো গাড়ি এসডিপিও অফিসের ঢোকার পরেই সব গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রায় ২ ঘণ্টা সেখানে ছিলেন তৃণমূল নেতা। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে চাননি তিনি।

গত বৃহস্পতিবার রাতে একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। অডিও ক্লিপে বোলপুর থানার আইসি-কে অশ্রাব্য-কদার্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শোনা যায় অনুব্রত মণ্ডলকে। এর প্রেক্ষিতে আইনানুগ কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান বীরভূমের পুলিশ সুপার আমনদীপ। FIR দায়ের হয়। সেই প্রেক্ষিতেই শনিবার থানায় অনুব্রতকে তলব করা হয়। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে যাননি অনুব্রত (Anubrata Mondal)। পুলিশ রবিবার বেলা ১১টার মধ্যে দেখা করার কথা বলে। কিন্তু সেই সময়ও যাননি তিনি। বদলে এক অনুগামী জানিয়েছেন, দাদার শরীর খুব একটা ভাল নেই। অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ গগন সরকার উল্টে দাবি করেন, “আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে ওই অডিও ক্লিপটি পাঠানো হয়েছে।“ অনুব্রতর কটূক্তির তীব্র নিন্দা করে তৃণমূলে জানায়, “অনুব্রত মণ্ডল একজন পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে যে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন, তার সঙ্গে দল একেবারই সহমত নয়। এই মন্তব্যকে দল সমর্থন করছে না। আমরা তাঁর অপমানজনক ও অগ্রহণযোগ্য- অশ্রাব্য ভাষার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। দল তাঁকে নির্দেশ দিচ্ছে, তিনি যেন আগামী চার ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চান। অন্যথায় তাঁর বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ জারি করা হবে।“ শীর্ষ নেতৃত্বের ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ পাওয়ার পরেই চিঠি লিখে দুঃখপ্রকাশ করেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা।

তবে, পুলিশ বারবার তলব করলেও অসুস্থতার অজুহাতে তা এড়ান অনুব্রত। ডাক্তারের সার্টিফিকেট জমা দেন। সেখানে দেখা যায়, ৫ দিন তাঁকে বিশ্রামের নির্দেশ দিয়েছেন চিকিৎসক। সেই ৫দিন বৃহস্পতিবার শেষ হয়। আর এদিনই দুপুরে এসডিপিও অফিসে হাজিরা দেন অনুব্রত।

প্রায় ২ ঘণ্টা সেখানে ছিলেন তৃণমূল নেতা। ৫টা ২৭ নাগাদ সেখান থেকে বেরিয়ে সোজা নিজের দলীয় কার্যালয়ে যান তিনি। তবে, কোথাও সাংবাদিকদের প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে চাননি অনুব্রত।

–

–

–

–

–

–
–
–
–