বাংলার বকেয়া আদায়ের ৯ জুন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) দিল্লি যাচ্ছেন বলে সূত্রের খবর ছিল। কিন্তু জানা গিয়েছে, এখনই দিল্লি যাচ্ছেন না মমতা। পরে প্রয়োজনমতো তিনি রাজধানী যাবেন।

কেন্দ্রীয় বঞ্চনার শিকার বাংলা। প্রতিটি রাজ্যের জন্য প্রকল্প বরাদ্দের পরিকল্পনা করে মোদি সরকার। অথচ প্রকল্প বাস্তবে পায় বিজেপি বা NDA শাসিত রাজ্যগুলিই। যতবার বাংলা তার কেন্দ্রীয় বকেয়া বরাদ্দের দাবি জানায়, ততবার নতুন নতুন খাতে বরাদ্দ বন্ধের পথে হাঁটে কেন্দ্র। বাংলার বকেয়ার দাবিতে বারবার সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বিষয়ে দিল্লিতে চিঠি লিখে, সশরীরে গিয়ে দাবি জানিয়েছেন তিনি।

একটি সূত্রে জানা গিয়েছিল আগামী সোমবার ৯ জুন দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এখনই যাচ্ছেন না মমতা। পরে পরিস্থিতি তৈরি হলে তার যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সাধারণত দিল্লিতে সংসদের অধিবেশন চলাকালীন তিনি একবার দিল্লি গিয়ে তাঁর পুরনো সহযোদ্ধাদের সঙ্গে দেখা করেন।

বাংলার বকেয়া নিয়ে কলকাতা (Kolkata) থেকে দিল্লির বুকেও তৃণমূলের (TMC) আন্দোলন আছড়ে পড়েছিল। কলকাতায় ধর্না হয়েছে। দিল্লিতে আন্দোলন করতে গিয়ে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay)-সহ একাধিক সাংসদকে টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার পরেও বকেয়া মেলেনি। একশো দিনের কাজের টাকা, আবাসের টাকা (বাংলার বাড়ি প্রকল্পে) মিটিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর সরকার। যা আদতে দেওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের। তৃণমূলের কাছে হেরে গিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই বাংলার মানুষকে ভাতে মারার চেষ্টা হয়েছে। যার প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে তৃণমূল। ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগেও যদি বকেয়া না মেলে তাহলে ফের বাংলার মানুষের কাছে মুখ পুড়বে বিজেপির। ভোট বাক্স আরও খালি হবে বলেই মত বিশেষজ্ঞ মহলের।


–

–
–

–
–
–

–

–

–

–
