একদিকে টেকসই উন্নয়ন হচ্ছে। অন্যদিকে ভারসাম্য বজায় থাকছে পরিবেশেরও। এভাবেই ‘নেট জিরো’ (Net Zero) পরিবেশ তৈরিতে নেতৃত্ব দেওয়ার স্থানে রয়েছে বাংলা, এমনই বার্তা উঠে এলো সিআইআইএ-এর (CII) গ্রিন বেঙ্গল সামিট ২০২৫-এর (Green Bengal Summit 2025) মঞ্চ থেকে। বাংলায় পরিবেশ বান্ধব নির্মাণ থেকে আন্তর্জাতিক মানের নির্মাণ নিয়ে সফল আলোচনা হয় সিআইআই-এর এই আলোচনা সভায়। উপস্থিত ছিলেন রাজের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ইন্ডিয়ান গ্রীন বিল্ডিং কাউন্সিল (IGBC) ও মার্লিন গ্রুপের চেয়ারম্যান সুশীল মোহতা ও সংগঠনের অন্যান্য দিকপালরা।

শুক্রবার, ৬ জুন CII-এর ইন্ডিয়ান গ্রীন বিল্ডিং কাউন্সিল (IGBC) –এর উদ্যোগে সল্টলেকের সুরেশ নেউটিয়া সেন্টার অফ এক্সেলেন্স ফর লিডারশিপ-এ ‘গ্রীন বেঙ্গল সামিট ২০২৫’ সফলভাবে আয়োজন করা হয়। আলোচ্য বিষয় ছিল – ‘অ্যাক্সেলেরেটিং বেঙ্গলস সাসটেনেবল অ্যান্ড রিসাইলেন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার টুওয়ার্ডস নেট জিরো’। আলোচনায় ৩০০-রও বেশি প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। সরকারি আধিকারিক, নগর পরিকল্পনাবিদ, নির্মাতা, টেকসই উন্নয়ন সংস্থা ও কর্পোরেট প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনায় উঠে আসে ‘নেট জিরো’র লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, নীতি সহায়তা ও সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের গুরুত্ব।

চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মাননীয়া প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত), পশ্চিমবঙ্গ সরকার-এর বক্তব্যে রাজ্যের বিভিন্ন গ্রিন ইনিশিয়েটিভ যেমন অতিরিক্ত FAR, সোলার রুফটপ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, জল সংরক্ষণ, এবং ইভি অবকাঠামোর প্রসারিত পরিকল্পনার কথা উঠে আসে। তিনি বলেন, পরিবেশ-বান্ধব পরিস্থিতি নির্মাণে পশ্চিমবঙ্গ আজ পথপ্রদর্শক।

আইজিবিসি ও মার্লিন গ্রুপের চেয়ারম্যান সুশীল মোহতা বলেন, পশ্চিমবঙ্গ শুধু নেট জিরো (Net Zero) লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, বরং গ্রিন পরিকাঠামো (green infrastructure) গঠনে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এসআরএমবি স্টিল, জ্যাকোয়ার, আদানি সিমেন্ট প্রভৃতি সংস্থার উপস্থাপনায় গ্রীন টেকনোলজির ব্যবহারিক দিকগুলি উঠে আসে। আলোচনার শেষে গ্রিন চ্যাম্পিয়ন্স অ্যাওয়ার্ডস তুলে দেওয়া হয়।

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–