রাজস্থানের রাজ্য পশু ফিরল রাজস্থানেই। পূর্ব মেদিনীপুরের সুতাহাটা থানার দূর্বাবেড়িয়া এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া ১১টি উট শুক্রবার রাত থেকে পাঠানো হল রাজস্থানের পথে। আদালতের নির্দেশে এই উদ্যোগে নেতৃত্ব দিয়েছে সুতাহাটা থানার পুলিশ এবং প্রাণীসম্পদ দফতর।
বকরি ঈদ উপলক্ষে বেআইনি ভাবে রাজস্থান থেকে আনা হয়েছিল এই উটগুলি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পশুদের সোশ্যাল মিডিয়ায় বিক্রির জন্য পোস্ট করা হয়েছিল। সেখান থেকেই গোচরে আসে পশু সুরক্ষা সংগঠনের। দ্রুত তারা থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রথমে সাতটি ও পরে আরও চারটি উট উদ্ধার করে।
উদ্ধার হওয়ার পর উটগুলির জন্য ডালপাতা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়ারদের। এখানকার আর্দ্র আবহাওয়ায় মানিয়ে নিতে না পেরে কিছু উট অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে প্রাণীসম্পদ দপ্তরের সহায়তায় চিকিৎসা চালানো হয়।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হলদিয়া) মনোরঞ্জন ঘোষ জানিয়েছেন, “উদ্ধারের পর উটগুলির যত্নে কোনও ত্রুটি রাখা হয়নি। আদালতের নির্দেশ মেনেই তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”
সূত্রের খবর, উটগুলির কোনও বৈধ নথিপত্র ছিল না। উট কেনাবেচা ও কাটা ভারতে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ফলে ‘প্রিভেনশন অফ ক্রুয়েলটি টু অ্যানিমেলস’ আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। পশু সুরক্ষা সংগঠনের সদস্য সুব্রত দাস বলেন, “উটগুলি বিক্রি অথবা বাংলাদেশে পাচারের পরিকল্পনা ছিল। পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে হয়তো প্রাণ হারাত এই নিরীহ প্রাণীগুলি। আমরা পুলিশের ভূমিকায় কৃতজ্ঞ।” বর্তমানে তদন্ত চলছে। এখনও অধরা চোরা কারবারের মূলচক্র। তবে প্রাণীসুরক্ষা ও আইনের জোরে রাজস্থানের মরুপ্রাণীরা অবশেষে ফিরছে নিজভূমিতে—এটাই বড় স্বস্তি।
আরও পড়ুন – পথ দেখাচ্ছে বাংলা, বিশ্বব্যাঙ্কের তথ্যে ভারতের ২৭ কোটি চরম দারিদ্রের বাইরে
_
_
_
_
_
_
_
_
_
