ভোট আসলেই রাজ্য বিজেপির নেতাদের বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে হঠাৎই তৎপর হয়ে যান রাজ্যের বিজেপি নেতারা। রবিবাসরীয় উত্থান এবারেও দেখা গেল বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder) থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারির (Suvendu Adhikary)। সুকান্ত গেলেন হাওয়া গ্রামীণে, অন্যদিকে শুভেন্দু সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali)। তবে ভোটের আগে তাঁদের এই ধরনের প্রচারের অর্থ বাংলার মানুষও বোঝেন, কটাক্ষ শাসকদল তৃণমূলের।
রবিবার অপারেশন সিন্দুরের সাফল্যে হাওড়ার উলুবেড়িয়ার তিরঙ্গা যাত্রার মধ্যে দিয়ে নতুন করে সাধারণ মানুষের কাছে প্রাসঙ্গিক করার চেষ্টা করেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তবে তাতে কোনও প্রভাব পড়বে না দাবি করে তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ দাবি করেন, মানুষকে যেটা প্রাথমিক দিতে হয় সেটা হল রোটি-কাপড়া অর মকান। তার জীবনযাত্রাকে ঠিক রাখা। তাকে আর্থিক, সামাজিক ও পরিবেশগতভাবে সুরক্ষিত সসম্মানে রাখা। সেটাই তো বিজেপি করছে না। একটা পরিবারকে তার প্রাপ্য টাকা দেয়নি। একশো দিনের টাকা দেয়নি, বাড়ি দেয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিতে হচ্ছে।
বিজেপির প্রচারে মূলত রাজ্যের শাসকদলকে কুৎসা করার জন্য রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে নিশানা করেন তিনি। বিজেপির এই ধর্মীয় রাজনীতিকে কুণাল ঘোষের স্পষ্ট জবাব, বিজেপি বাংলার মানুষের জন্য কাজ করে না। তারা শুধুমাত্র ধর্মীয় উস্কানি, ভেদাভেদের উপর আছে। বাংলার মানুষ সেটা বোঝেন। বাংলার মানুষকে তাঁদের সামাজিক, আর্থিক অধিকার, তাঁর সম্মান যদি না দেন তাহলে যতবার যাই করুন বাংলায় তার কোনও প্রভাব পড়বে না।
অন্যদিকে রবিবারের মতো ছুটির দিনকে সামনে রেখে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) যান শুভেন্দুও। সেখানে গিয়ে তিনি দাবি করেন শেখ শাহজাহানের ফাঁসির আবেদন আদালতে করার। সেখানেই কুণাল ঘোষের প্রশ্ন, ওনার আদালতে যাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। উনি চাইলে যেতেই পারেন। তবে আদালতে গেলে কেন ফাঁসি চাইছেন সেটাও বলতে হবে। যে শাস্তি শাহজাহানের জন্য চাইছেন সেগুলো উন্নাও, হাথরস বা মনিপুরের জন্য কেন চাইতে পারেননি। সেগুলোকে থামিয়ে তারপর বাংলায় দেখান।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
