দশদিনেও খোঁজ মেলেনি মহেশতলায় নির্যাতিত নাবালকের। ইতিমধ্যেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এই ঘটনায়। তাদের মুখোমুখি জেরার প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। এবার নিখোঁজ কিশোরকে খুঁজতে সিআইডির (CID) সাহায্য নেবে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ (Diamond Harbor police)। পরীক্ষা করা হচ্ছে স্থানীয় এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ (CCTV footage)। অন্যদিকে ঘরের ছেলেকে ফিরে পেতে এদিনও বিক্ষোভ করেন ইসলামপুরের মানুষজন।

মহেশতলার কারখানার মালিক শাহেনশাহকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে জেরায় সে বারবার দাবি করেছিল সকাল ৭টা নাগাদ নাবালককে ছেড়ে দেয় সে। সেই সময়ের স্থানীয় এলাকার যে সিসিটিভি (CCTV) রয়েছে, সেগুলির ফুটেজ (footage) পরীক্ষা করেছে ইতিমধ্যেই পুলিশ। তবে তাতে কোথাও নাবালকের বেরিয়ে যাওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। ফলে আরও জটিল হয়েছে নাবালকের খোঁজ পাওয়া।

গ্রেফতার হওয়া পাঁচজনকে আলাদা করে জেরা করা হয়েছে। যেখানে বয়ানে অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশের দাবি। তাই এবার পাঁচজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে। তার জন্য রবিবার ফের পাঁচজনকে আদালতে তুলে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ।

তবে গোটা ঘটনায় অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে, এমনটা দাবি করেই এবার সিআইডি-র সাহায্য নেওয়ার কথা ভাবছে পুলিশ। সিআইডির (CID) ক্রিমিনাল ইনটেলিজেন্স গেজেটে ছবি-সহ ওই কিশোরের চেহারার বিবরণ ও যাবতীয় তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগেই নাবালকের ছবি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে সন্ধান চালিয়েছে পুলিশ। তবে তাতে খোঁজ না মেলায় এবার সিআইডি-র দ্বারস্থ পুলিশ।


যদিও এই ঘটনা নিয়েও নাবালকের বাড়ি ছেড়ে পরিযায়ী শ্রমিকের (migrant labour) কাজ করা নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে বিরোধিরা। সেখানে তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল মনে করিয়ে দেন, এই ঘটনা নতুন নয়। গোটা দেশে বহু যুগ ধরে এটা চলে আসছে। বর্তমানে বাংলায় অনেক কম দেখা যায় এমন ঘটনা। লকডাউনের পরে দেশের প্রথম শহিদ জামলো মাদ্দম। করোনার পরে হঠাৎ লকডাউন ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় পায়ে হেঁটে নিজের রাজ্যে ফিরছিল। পথের শেষটুকু পার হওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়। সে শর্সের খেতে কাজ করছিল। ছত্তিশগড়ের মেয়ে তামিলনাড়ুতে কাজ করতে গিয়েছিল। এটাও অন্য রাজ্যের বিষয়। এগুলো ভুলে গিয়ে একটি উদাহরণ তুলে ধরা হচ্ছে।


–
–

–
–
–

–

–

–

–
