সীমান্ত পাহারায় চূড়ান্ত ব্যর্থ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিএসএফ (BSF)। দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ বিজেপির কেন্দ্রের সরকার। এবার বিজেপির রাজ্যেই খোঁজ মিলল একাধিক দালালের, যারা বাংলাদেশি (Bangladeshi) নাগরিকদের অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করাতো টাকার বিনিময়ে। বিজেপি শাসিত ত্রিপুরাতেই রমরমিয়ে চলছিল দালালের হাত ধরে অনুপ্রবেশ। এক বাংলাদেশিসহ দুই দালালকে (tout) গ্রেফতার করল আগরতলা রেল পুলিশ। এখানেও সেই বিএসএফ-এর অক্ষমতাকেই নিশানা বাংলার শাসকদল তৃণমূলের।

সম্প্রতি রেলপথে যাতে কোনও অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ভারতের অন্যত্র না যেতে পারে, তার জন্য কড়া নজরদারি শুরু করেছে আরপিএফ। সেই তল্লাশিতেই আগরতলায় (Agartala) একের পর এক গ্রেফতার অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ও দালাল। সোমবার আরপিএফ-এর হাতে ধরা পড়ে ঝিলমিল নামে এক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। সেই সঙ্গে সাগর মণ্ডল ও সুব্রত দাস নামে দুই দালালকেও (tout) গ্রেফতার করে আরপিএফ (RPF)। দুজনেই পশ্চিম ত্রিপুরার (Tripura) বাসিন্দা। অনুপ্রবেশকারীকে কলকাতা থেকে দিল্লি পাঠানোর ছক ছিল বলে জানান আগরতলা রেলপুলিশের ওসি তাপস দাস।

এরপরেও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা (Manik Saha) দাবি করেন, সেখানে বিজেপি সরকার নিজেদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে। ত্রিপুরায় বসে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারতে প্রবেশের পথ করে দিচ্ছিল যে দালালরা, তাদের কোনও নাগাল পায়নি ত্রিপুরা সরকার। আরপিএফ (RPF) নজরদারি না চালালে ত্রিপুরা পুলিশেরও সাধ্য হত না এদের নাগাল পেতে। তা সত্ত্বেও দায় ঝাড়ার চেষ্টা মুখ্যমন্ত্রীর। প্রসঙ্গত, শনিবারও আগরতলা রেলস্টেশন থেকেই এক বাংলাদেশি নাগরিক গ্রেফতার হয়। সেই সময়ও তার সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছিল এক ত্রিপুরার দালাল।

বাংলায় কোনও বাংলাদেশের নাগরিককে বাংলার পুলিশ গ্রেফতার করলে রাজ্যের বিজেপি নেতারা ইস্য়ু খুঁজতে শুরু করে। অথচ ত্রিপুরার (Tripura) বেলায় তারা নীরব। ত্রিপুরার ক্ষেত্রেও তাই বিএসএফ ও কেন্দ্রের সরকারকেই দায়ী করছে তৃণমূল। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, জল-স্থল-অন্তরীক্ষ তিনটে সীমানাই কেন্দ্রীয় সরকারের। কোনও বহিরাগত যদি আকাশ পথে, জলপথে বা স্থলপথে আসে তার সব দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের। বিজেপির রাজ্যে ঢুকছে কী করে। স্টেশন থেকে ধরা পড়ছে। কেউ বলছে দিল্লি যাব, কেউ বলছে কলকাতা যাব। যদি ট্রেনে উঠে কলকাতা আসে বলা হবে কলকাতা থেকে ধরা পড়ল। সূত্রটা তো সীমান্ত। ব্যর্থতা সম্পূর্ণ বিএসএফ-এর, অমিত শাহর দফতরের।


–


–
–

–
–
–

–

–

–

–
