ফের দেশজুড়ে কোভিড (Covid 19) সংক্রমণের খবর মিলছে। রাজ্যেও কয়েকজনের শরীরে মিলেছে করোনার ভাইরাস। এই পরিস্থিতিতে সোমবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠক সারলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৈঠকের পরে সচিব পর্যায়ের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, কোভিড নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার পরিস্থিতি এখনও হয়নি। কিন্তু তাঁরা প্রস্তুতি বৈঠক সেরে রাখলেন। যাতে প্রয়োজনে দ্রুত পদক্ষেপ করা যায়। মমতা (Mamata Banerjee) জানান, কোভিডের এই ভেরিয়েন্ট থেকে অতিমারি হবে না বলেই জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। প্রয়োজন সরকারি হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর।

এদিন নবান্নে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে রাজ্যে বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্র সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী ও স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম, কলকাতা পুরসভার প্রতিনিধিরা এবং একাধিক বিশিষ্ট চিকিৎসক। বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “কোভিড শুনলেই মানুষ ভয় পেয়ে যান। কিন্তু এখনও পর্যন্ত রাজ্যের কাছে যে তথ্য রয়েছে, তাতে আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। তবে সবরকম সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।” তিনি বলেন, পরিস্থিতি অতিমারির মতো নয়, তবে যাঁদের অন্যান্য শারীরিক জটিলতা রয়েছে, তাঁদের জন্য বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

কোভিডের উপসর্গ দেখা দিলে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর পরামর্শও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সব ধরনের হাসপাতালেই বেড, অক্সিজেন এবং ওষুধ মজুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার আগেই কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে সতর্কতা হিসেবে প্রস্তুতি সেরে রেখেছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “আশা করি অতিমারির পরিস্থিতি তৈরি হবে না। তবে যদি কখনও সেই পরিস্থিতি আসে, তাহলেও অসুবিধা হবে না, কারণ সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।”

সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. যোগীরাজ রায় জানিয়েছেন, বর্তমানে যে ভাইরাসটি ছড়াচ্ছে তা ওমিক্রনের একটি উপপ্রজাতি। দ্রুত এই ঢেউ কেটে যাবে বলেই আশা করছেন চিকিৎসকেরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এটিকে ‘ভেরিয়েন্ট অব কনসার্ন’ হিসেবে চিহ্নিত করেনি। তাই উদ্বেগের কোনও কারণ নেই বলেই মত রাজ্য প্রশাসনের।


–

–
–

–
–
–

–

–

–

–
