ভেঙে পড়ার আগে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (ATC)-কে মে ডে কল (MAYDAY call) পাঠিয়েছিল অভিশপ্ত AI-171 বিমান। ফ্লাইটরাডা ২৪-এর তথ্য অনুযায়ী, পাইলটের কাছ থেকে বিপদবার্তা পেয়ে এটিসি যোগাযোগের চেষ্টা করে। কিন্তু যোগাযোগ করা যায়নি। তার পরই বিমান (Flight) ভেঙে পড়ার খবর মেলে।
বৃহস্পতিবার সর্দার বল্লভভাই পটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুপুর ১টা ৩৯ মিনিটে ওড়ে AI-171 বিমানটি। রানওয়ে ২৩ থেকে ওড়ার এক মিনিটের মধ্যে ATC-র সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেই সময়ই মে ডে কল দেন পাইলট। ভেঙে পড়ার আগে মাটি থেকে ৬২৫ ফুট উচ্চতায় ছিল বিমানটি। হঠাৎই দ্রুতগতিতে নীচের দিকে নামতে শুরু করে। তার পরই সেটি মেঘানিনগরের কাছে বসতি এলাকায় ভেঙে পড়ে।
কী এই মে ডে কল?
MAYDAY call-কে বিমান পরিষেবার পরিভাষায় বলা হয় ‘বিপদসঙ্কেত’। হঠাৎ ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির আঁচ পেলে এই শব্দবন্ধটি ব্যবহার করেন পাইলট। ফরাসি শব্দ ‘মেইডার’ অর্থাৎ ‘‘আমাকে সাহায্য করুন‘’ থেকে এসেছে ‘মে ডে’ শব্দটি। সাধারণত এটিসি এবং তার আওতায় আকাশপথের কোনও বিমানের মধ্যে রেডিও যোগাযোগকে ‘মে ডে কল’ বলে। এই শব্দবন্ধের মাধ্যমে দ্রুত সাহায্যের বার্তা পাঠানো হয়।
কখন ‘মে ডে কল’ পাঠানো হয়?
খুব সংকটজনক পরিস্থিতিতেই এই বার্তা পাঠানো হয়। বিমানের ইঞ্জিনে গোলযোগ দেখা দিলে, বিমান অতি দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে পড়লে, বিমানের যান্ত্রিক গোলযোগ হলে বা উড়ন্ত বিমানে কেউ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ‘মে ডে কল’ করা হয়ে থাকে।
অন্তত তিন বার বলতে হয় ‘মে ডে, মে ডে, মে ডে’। তিন বার এই শব্দ বন্ধ বললেই এটিসি বুঝতে পারে সত্যিই বিমান বড় বিপদে পড়েছে। তবে, পরিস্থিতি যদি খুব গুরুতর না হয়ে শুধু উদ্বেগজনক হয়, তাহলে ‘প্যান প্যান কল’ করেন পাইলট।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–