পথ দেখিয়েছে বাংলাই। ২০২৪-এ বাংলা থেকে ৩৮ শতাংশ মহিলা প্রতিনিধি সংসদে গিয়েছেন। ২০২৯ সালের নির্বাচন থেকে লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভায় মহিলাদের জন্য এক তৃতীয়াংশ আসন (One Third Seat) সংরক্ষণের আইন কার্যকরের সিদ্ধান্ত নিল। পাখির চোখ নির্বাচন। আর সেই লক্ষ্যেই সেই বছর লোকসভা এবং ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড ও মহারাষ্ট্র বিধানসভার নির্বাচনে মহিলাদের (Woman) জন্য আসন সংরক্ষণ কার্যকর করা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

২০২৩-এর সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় সরকার মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ করে। তাতে ৩৩ শতাংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষণের কথা বলা আছে। এই বিলটির জন্য ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী দলগুলি একজোট হয়ে চাপ সৃষ্টি করে। তৃণমূল (TMC), কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, BSP, এবং আরজেডির মতো বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি এই বিলের প্রতি সমর্থন জানায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), সোনিয়া গান্ধী, রাবড়ি দেবী, ডিম্পল যাদব, মায়াবতী—সবাই একযোগে মহিলা সংরক্ষণ (One-Third reservation) আইনটির পক্ষে দাঁড়ান। বিল পাশের সময় বলা হয়, বর্তমান আসন সংখ্যা চালু থাকা পর্যন্ত এই সংরক্ষণ চালু হবে না। ২০২৪-এ নির্বাচনে এটি বলবৎ করা যায়নি। লাগাতার এলাকা পুনর্বিন্যাসে আসন সংখ্যা বৃদ্ধির পরে সংরক্ষণ বলবৎ হবে। হবে জনগণনা। তার পরে এটি কার্যকর হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।

জনগণনার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ফল প্রকাশ করা হবে ২০২৭-এর প্রথমে। তারপর কাজ শুরু করবে ডিলিমিটেশন কমিশন। তারা আসন পিছু গড় ভোটার সংখ্যা চূড়ান্ত করার পরে সংসদীয় ও বিধানসভা এলাকা সীমানা নির্ধারণ করবে।

এখনই আসন পুনর্বিন্যাস চাইছে না তামিলনাড়ু-সহ দক্ষিণের রাজ্যগুলি। তাদের বক্তব্য, জন্ম নিয়ন্ত্রণে সাফল্যের কারণে ওই রাজ্যগুলির জনসংখ্যা কম। ফলে লোকসভা ও বিধানসভার আসন সংখ্যা কমে যাবে। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের মতে, সব রাজ্যে বিশেষ করে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে জন্মহার জাতীয় গড়ের নীচে না নামা পর্যন্ত ডিলিমিটেশন না করা উচিৎ। ২০৫০ সাল পর্যন্ত তা পিছিয়ে দিতে একাধিক দল ও রাজ্যকে পাশে নিয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করেন তিনি। স্বভাবতই আসন পুনর্বিন্যাসের আগে মহিলা সংরক্ষণ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েও আপত্তি আছে।

–

–

–

–
–

–

–
–
–
–