রাজ্যে বেহাল রাস্তা সংস্কারে কড়া পদক্ষেপের বার্তা দিলেন পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় পূর্ত দফতরের স্থায়ী কমিটির রিপোর্ট নিয়ে আলোচনার পর মন্ত্রী ঘোষণা করেন— বেহাল রাস্তায় ছবি সহ অভিযোগ পেলেই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় মেরামতির কাজ সম্পন্ন করা হবে।
মন্ত্রী জানান, পূর্ত দফতরের আওতায় থাকা যে কোনও রাস্তার গর্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত অংশের ছবি হোয়াটসঅ্যাপ করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ৯০৮৮৮২২১১১ এই নম্বরে ছবি পাঠিয়ে সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ। তাঁর কথায়, “সরকার রাস্তাঘাট নিয়ে সর্বদা সজাগ। গাফিলতির কোনও জায়গা নেই।”
গত ১৪ বছরে পূর্ত দফতরের কাজের পরিসংখ্যান তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ৩৩ হাজারের বেশি রাস্তা এবং ৩০৫টি সেতু নির্মিত হয়েছে। এছাড়া ৬টি রেল ওভারব্রিজ এবং ৬০০-র বেশি সেতু পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এই প্রকল্পগুলিতে ব্যয় হয়েছে ৪৮ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। এছাড়া সেতু দুর্ঘটনা রুখতে সরকার সর্বদা সতর্ক বলেই জানান মন্ত্রী। তাঁর দাবি, “পূর্ত দপ্তরের অধীনে থাকা প্রতিটি সেতুর বছরে চারবার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।” অতীতে বিভিন্ন সেতু দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে প্রশাসন।
সড়ক উন্নয়নে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন পূর্তমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সড়ক উন্নয়ন তহবিল থেকে রাজ্যের প্রাপ্য ১২.৫ শতাংশ অর্থ এখনও মেলেনি। পাশাপাশি, মাঝেরহাটের জয়হিন্দ সেতু এবং নতুন টালা ব্রিজ নির্মাণে রেলের ৫০ শতাংশ অনুদান পাওয়ার কথা থাকলেও, আজও তা রাজ্যের হাতে আসেনি।
মন্ত্রী পুলক রায় স্পষ্ট জানান, রাস্তাঘাটের অবনতি ঠেকাতে এবার জনগণের সক্রিয় ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হবে। সরাসরি ছবি পাঠিয়ে মানুষ জানালেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁর কথায়, “রাস্তা ও সেতু— এই দুই পরিকাঠামো উন্নয়নেই সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে গ্রামীণ ও শহরতলির দুর্দশাগ্রস্ত রাস্তাগুলির দ্রুত সংস্কার সম্ভব হবে। তবে তার জন্য দরকার প্রশাসনিক সদিচ্ছা ও নিরবচ্ছিন্ন নজরদারি।
আরও পড়ুন – ২০২৯ থেকে লোকসভা-বিধানসভা নির্বাচনে ৩৩% মহিলা আসন সংরক্ষণ আইন কার্যকরের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের
_
_
_
_
_
_
_
_
_