গোটা বিমান ভেঙে টুকরো টুকরো। সঙ্গে ছারখার মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের ক্যান্টিন (canteen)। আমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরেও সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে প্লেট-গ্লাস-চামচ। তারই মধ্যে কোথায় হারিয়ে গিয়েছেন তাঁর মা ও দুবছরের মেয়ে, খুঁজে চলেছেন ক্যান্টিনের রাঁধুনি ঠাকুর রবি। পুলিশের অনুমতি না থাকায় ঢুকতে পারছেন না রোজকার গন্তব্য ক্যান্টিনে। সিভিল হাসপাতাল (Civil Hospital) হস্টেলের বাইরে অপেক্ষা করছেন দুজনের ফিরে আসার – জীবিত বা মৃত।
সিভিল হাসপাতালের বাইরে ছবি, পরিচয় হাতে বহু মানুষ অপেক্ষা করছেন, আমেদাবাদের অভিশপ্ত বিমান দুর্ঘটনায় (plane crash) হারিয়ে যাওয়া পরিজনের খোঁজে। তার মধ্যে উদগ্রীব মুখ ঠাকুর রবির (Thakur Ravi)। হাসপাতালের ইউজি হস্টেলের রান্না ছিল তাঁর (cook) দায়িত্বে। তিনি তাঁর স্ত্রী ও মাকে নিয়ে রান্না করতেন। সেই খাবার সিভিল হাসপাতালের চিকিৎসকদেরও নিজেই গিয়ে দিয়ে আসতেন তিনি। বৃহস্পতিবার সেরকমই স্ত্রীকে নিয়ে খাবার দিতে গিয়েছিলেন রবি। কিন্তু ফেরারা আগেই ঘটে যায় মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা।
বৃহস্পতিবার বেলা ১টায় হাসপাতালে খাবার দিতে গিয়েছিলেন রবি। দেড়টার পরে যখন বিমান দুর্ঘটনা ঘটে তখন তিনি ক্যান্টিনের কর্মী অন্যান্য মহিলাদের ফোন করেন। তাঁদের নিরাপদে বেরিয়ে আসার খোঁজ নিতে থাকেন। সেই সঙ্গে খোঁজ শুরু করেন মা সরল বেন ও দুবছরের কন্যার। তারা তখন ওই অভিশপ্ত ক্যান্টিনেই ছিলেন। একটা সময় পরে ক্যান্টিনের (canteen) সব মহিলা কর্মীর খোঁজ পেয়ে যান তিনি। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও খুঁজে পাননি মা ও মেয়েকে।
বিমান দুর্ঘটনায় হস্টেলের ক্যান্টিনটি ভীষণভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত। বিমানের চাপে ভেঙেছে অনেকটা অংশ। সেই সঙ্গে বিস্ফোরণে পুড়ে ছাই গোটা ক্যান্টিন। তারই মধ্যে ঝলসে মৃত্যু হয়েছে অনেক চিকিৎসকের। এই পরিস্থিতিতে মা ও মেয়ের জীবিত ফিরে আসার আশা করা প্রায় ছেড়ে দিয়েছেন রবি (Thakur Ravi)। চোখের জলে অন্তত মৃত্যুর খবরের অপেক্ষা করছেন শেষবারের মতো দেহ চোখের দেখা দেখার জন্য।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–