মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উদ্যোগে শুরু হওয়া ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত উপকৃত হয়েছেন ২ কোটিরও বেশি মহিলা। রাজ্যের বিধানসভায় শুক্রবার এই তথ্য জানালেন নারী ও শিশু সমাজকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা (Shashi Panja)।

২০২১-এ তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প চালু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে তফশিলি জাতি-উপজাতির মহিলাদের ১০০০ টাকা ও বাকিদের ৫০০টাকা করে মাসিক ভাতা দেওয়া হত। পরে সেটি বাড়িয়ে ১২০০ টাকা ও ১০০০টাকা করে দেওয়া হয়।

এদিন বিধানসভায় সেই প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রশ্ন তোলেন পাথরপ্রতিমার তৃণমূল বিধায়ক সমীর জানা। প্রশ্নের উত্তরে শশী (Shashi Panja) জানান, ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পে উপকৃত হয়েছেন মোট ২ কোটি ১৫ লক্ষ ৮৮ হাজার ৭৭৫ জন মহিলা। প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ব্যয় হয়েছে ৪৮ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা।

মন্ত্রী আরও জানান, উপভোক্তাদের মধ্যে যাঁরা ৬০ বছর পার করেছেন, তাঁদের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থানান্তরিত করা হয়েছে ‘বার্ধক্য ভাতা’ প্রকল্পে। এখনও পর্যন্ত এমন ৬ লক্ষ ৪ হাজার ৮৩৭ জনকে বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও খবর: স্বামীর নামে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার! বাম-কংগ্রেস জোটের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে বড় দুর্নীতির অভিযোগ

বামফ্রন্ট জমানার তুলনায় রাজ্যে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সংখ্যা প্রায় তিন গুণ বেড়েছে বলে জানান নারী ও শিশু সমাজকল্যাণ মন্ত্রী। বলেন, ২০১১ সালে রাজ্যে মোট অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ১৯,৫৮৬। তৃণমূল সরকারের গত ১৪ বছরের শাসনকালে সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬৩,৪১০। তিনি দাবি করেন, শিশুদের পুষ্টি, স্বাস্থ্যপরীক্ষা এবং প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রদানে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির পরিকাঠামো ও পরিষেবারও উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে।

–

–

–
–

–

–
–
–
–
–
–