গুজরাটের বিমান দুর্ঘটনায় (Gujrat Plane Crash) শোকাহত গোটা দেশ। শুক্রবার সকালে আহমেদাবাদে পৌঁছে যান দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার এয়ারবাস যেখানে ভেঙে পড়েছিল সেই মেঘানিনগরের বি জে মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শনের পর সোজা হাসপাতালে যান তিনি।দুর্ঘটনায় একমাত্র জীবিত যাত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক বিশ্বাসকুমার রমেশের সঙ্গে দেখা করে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা শোনেন। সেখান থেকে বেরিয়ে প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠকও করেন প্রধানমন্ত্রী (PM)।
নিমেষে ঝলসে বিমানের মধ্যে ২৪১ জনের মৃত্যু। এক কথায় মেঘানিনগর এখন মৃত্যুপুরী। স্বজনের দেহাংশ কখন মিলবে তার জন্য হাসপাতালে হাপিত্যেশ করে বসে মৃতের আত্মীয়রা। বিলাসবহুল বিমান, অভিজ্ঞ পাইলট- তা সত্ত্বেও দুর্ঘটনা কীভাবে এখন এই প্রশ্ন শীর্ষ কর্তা থেকে শুরু করে দেশের আমজনতার মনে। শুক্রবার সকাল ৯টা নাগাদ প্রথমে দুর্ঘটনাস্থলে যান মোদি। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী কিঞ্জারপু রাম মোহন নাইডু এবং গুজরাতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কীভাবে বিজে মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের হস্টেল ভেঙে পড়েন তা প্রধানমন্ত্রীকে জানান। উদ্ধারকাজ সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার পর রওনা দেন সিভিল হাসপাতালের দিকে। মাথা হেট করে সেখানে প্রবেশ করেন। সি ৭ ওয়ার্ড পরিদর্শন করে আহত পড়ুয়াদেরও শরীরের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ নেন ৷ চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা বলেন। বিমান দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া একমাত্র যাত্রী বিশ্বাস কুমার রমেশের থেকে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা শোনেন। এদিন দুর্ঘটনায় মৃত গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে তাঁর। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর প্রধানমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লেখেন, প্রিয়জনকে হারানোর কষ্ট এবং এই অপূরণীয় ক্ষতি বহু বছর ধরে তাঁরা অনুভব করবে সে কথা বুঝতে পারছি ৷” শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী এরপরই বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন মোদি।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–